১৭ মে’র পরে লকডাউন নিয়ে কী পরিকল্পনা মোদি সরকারের, প্রশ্ন সোনিয়ার

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। (Photo: IANS)

করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। আপাতত ১৭ মে পর্যত বাড়ানো হয়েছে এর মেয়াদ। ১৭ মে’র পরে লকডাউন নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করছে মোদি সরকার, তা নিয়ে কেন্দ্রর কাছে প্রশ্ন রাখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি।

তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র কী পরিকল্পনা নিচ্ছে তা সব রাজ্যগুলিকে জানানো হোক। বুধবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন সোনিয়া গান্ধি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। সেখানেই সনিয়া এই প্রশ্ন তোলেন বলে জানা গিয়েছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, বৈঠকে সনিয়াজি প্রশ্ন করেন ১৭ মে’র পরে কী হবে ও কী ভাবে হবে। এই লকডাউন আরও চলবে না তুলে নেওয়া হবে সে ব্যাপারে কী পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করবে কেন্দ্র।


একই প্রশ্ন করেন মনমোহন সিংও। সোনিয়া গান্ধির বক্তব্যের পরে তিনি বলেন, লকডাউন ৩.০’র পরে কী হবে সে বিষয়ে সবকিছু জানার অধিকার আমাদের রয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সামনে প্রশ্ন রাখার জন্য সব কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্ৰী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং লকডাউন আরও বাড়লে অর্থনৈতিক অবস্থার কতটা ক্ষতি হবে সেই বিষয়ে নিজের চিন্তার কথা বলেন। তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে দিল্লিতে বসে সরকার বিভিন্ন রাজ্যের কোভিড জোনের বিন্যাস করছে। সেখানে গিয়ে প্রকৃত অবস্থা তারা দেখছে না।

চিন্তার কথা প্রকাশ করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও। কেন্দ্রের তরফে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা না করলে কী ভাবে রাজ্য চালানো যাবে তা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন তিনি। গেহলট বলেন, কেন্দ্রের তরফে আর্থিক প্যাকেজ না ঘোষণা করলে কী ভাবে রাজ্য চলবে? আমদের রাজস্ব বাবদ আয় ১০ হাজার কোটি টাকা কমে গিয়েছে।

এই বৈঠকে চিদম্বরম অভিযোগ করেন, রাজ্যগুলির এই খারাপ অবস্থার সময়ও কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না। এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ দেন তিনি।

এর আগে সোমবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি জানিয়েছিলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রেনের ভাড়া কংগ্রেসের তরফে দেওয়া হবে। শ্রমিকদের কাছে ভাড়া চাওয়ার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি।

তারপরেই কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, শ্রমিকদের কাছ থেকে কোনওদিনই ভাড়া নেওয়ার কথা বলা হয়নি। ভাড়ার কিছু শতাংশ টাকা রেলমন্ত্রক দেবে ও বাকি শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে দিতে বলা হয়েছে।