আর ৮ ঘণ্টা নয়। এবার থেকে ৯ ঘণ্টার সাধারণ কর্মদিবস চালুর পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার। সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই দেশে এমন আইন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে বেতন বিধি সংশােধনের কাজে হাত দিয়েছে নরেন্দ্র মােদি সরকার। এর খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই খসড়াতেই ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৯ ঘণ্টার সাধারণ কর্মদিসব চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
এই প্রস্তাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। যদিও বেতন সংক্রান্ত শ্রম বিধির মতােই এই খসড়া নিয়মে জাতীয় ন্যূনতম বেতন সম্পর্কে কোনও টু শব্দটি করা হয়নি। বেতন বিধি সংক্রান্ত যে পুরনাে বিধিতে যা বলা হয়েছে তার অধিকাংশই স্থান পেয়েছে কেন্দ্রের নতুন খসড়া নিয়মে। কেবলমাত্র ভবিষ্যতে বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি ভৌগলিক বৈশিষ্টকে প্রাধান্য দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে নয়া খসড়া প্রস্তাবে।
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ৯ ঘণ্টার সাধারণ কর্মদিবস হওয়া উচিত। অথচ এখনকার মতােই দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে ২৬ দিনের কাজের ভিত্তিতে মাসিক বেতন নির্ধারণের পক্ষে খসড়ায় সওয়াল করা হয়েছে। যে কারণে এই সুপারিশ ঘিরে বিভিন্ন মহলে ধন্দ দেখা দিয়েছে।
স্বভাবতই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। সিআইটিইউ’র সহ সভাপতি একে পদ্মনাভন বলেন, ‘বহু সংস্থা ইতােমধ্যেই তাদের কর্মচারীদের দিনে ৯ ঘণ্টা করে কাজ করতে বাধ্য করছে। নয়া বেতন বিধির মাধ্যমে সরকার হয়তাে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে এটি চালু করতে চাইছে। অতীতে আমরা বেতন বিধির বিরােধীতা করেছিলাম। ভবিষ্যতেও নয়া রুলের বিরােধিতা করব। কারণ এই পদক্ষেপ দেশের শ্রমিক শ্রেণীর স্বার্থ বিরােধী’।