সম্প্রতি নয়া কৃষি আইনের বিরােধিতা করে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেয় দেশের প্রায় লক্ষাধিক কৃষক। এরপরেই নড়েচড়ে বসে মোদি সরকার। ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসল কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত নয়া কৃষি আইন নিয়ে পাঞ্জাব সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এবার সেই বিক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার কৃষক- সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তােমর এবং পীযুষ গয়াল। এই নিয়ে গত দু মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার রফাসূত্রের খোঁজে বৈঠকে বসল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য এর আগে কৃষকদের বিক্ষোভ কমানােয় উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্র। ১৪ অক্টোবর কৃষিসচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বন্ধ করতে রাজি হননি কৃষক নেতারা। এরপর বৈঠকে আমলার বদলে মােদি সরকারের মন্ত্রীদের উপস্থিতির দাবি জানিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি।
এদিন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতাদের সেই দাবি মেনে বৈঠকে বসেন মােদি সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা। বৈঠকের পূর্বশর্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী তােমর এবং রেল খাদ্য তথা উপভােক্তা বিষয়ক মন্ত্রী গয়াল।
প্রসঙ্গক্রমে লকডাউনের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে অধিবেশন ডেকে তিনটি কৃষি বিলে সংশােধন করে আইনে পরিণত করে মােদি সরকার। এরপরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে তুমুল প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয় নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে। বিশেষত পাঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরােধ, রেল রােকো আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলি।
তাদের অভিযােগ নতুন আইনের ফলে লােকসানের মুখে পড়বেন কৃষকেরা ফসল নিয়ে তাদের দরাদরির ক্ষমতা কমে যাবে, প্রচলিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হতে হবে তাঁদের। পাশাপাশি বেসরকারি এবং বড় সংস্থাগুলির কাছে কৃষিপণ্য মজুত রাখার রাস্তাও খুলে যাবে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পাল্টা দাবি নতুন কৃষি আইনে কোনও ভাবে কৃষকেরা বঞ্চনার শিকার হবেন না।