কেন্দ্রের সহায়তায় ওষুধের ব্যবসা, প্রতি বিক্রিতে কমিশন খোদ মোদি সরকারের কাছ থেকে

দিল্লি, ১৪ মার্চ– ব্যবসা করার কথা ভাবছেন কি? কিন্ত্ত ব্যবসা করা খুব সহজ বিষয় নয় তাও চলছে মাথায়৷ তাহলে জানাই একটি দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে৷ যেখানে কেন্দ্র সরকার মোটা অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিচ্ছে৷ বর্তমানে চিকিৎসা খাতে ব্যবসা করতে পারলে দারুণ সুযোগ রয়েছে৷ করোনার সময় থেকেই এই খাতের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কেন্দ্র সরকার জেনেরিক ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার সুযোগ করে দিচ্ছে৷ যাতে থাকবে সরকারি সহায়তাও৷

এখন সরকার জন ঔষধি কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে৷ সরকার ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ঔষধ কেন্দ্রের সংখ্যা ১০ হাজার করার টার্গেট নিয়েছে৷ সাধারণ মানুষের জন্য ওষুধের খরচ কমাতে জন ঔষধি কেন্দ্র খোলা হচ্ছে৷

জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্য সরকার ফ্রাঞ্জাইজি দেওয়ার বিষটিকে তিন ভাগে ভাগ করেছে৷ প্রথম বিভাগে, যে কোনও ব্যক্তি, ফার্মাসিস্ট, যে কোনও ডাক্তার জন ঔষধি কেন্দ্র খুলতে পারেন৷ দ্বিতীয় বিভাগে ট্রাস্ট, এনজিও, বেসরকারি হাসপাতাল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ তৃতীয় বিভাগে, রাজ্য সরকার কর্তৃক মনোনীত সংস্থাগুলি জন ঔষুধি কেন্দ্র খুলতে পারেন৷এর মানে হল কোনও ভারতীয় ব্যক্তি যদি নিজস্ব ভাবে জন ঔষুধি কেন্দ্র খুলতে চায়, তবে তাঁকে ডি ফার্মা বা বি ফার্মা ডিগ্রি থাকতে হবে৷ আবেদন করার সময় প্রমাণ হিসেবে সেই ডিগ্রি জমা দিতে হবে৷


পিএমজেএওয়াই-এর আওতায় এসসি, ও এসটি সার্টিফিকেট থাকা কোনও ব্যক্তি ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা করা হয়৷ জন ঔষধি কেন্দ্র খুলতে হলে প্রথমে জন ঔষধি কেন্দ্রের নামে ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স নিতে হবে৷ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://janaushadhi.gov.in/ থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে, সেটিকে সঠিক ভাবে ফিলআপ করে জমা দিতে হবে ফার্মা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং বু্যরো-তে৷ সেখান থেকে মঞ্জুরি মিললে তবেই খোলা যাবে জন ঔষধি কেন্দ্র৷ এছাড়াও, নির্দিষ্ট দোকানও চাই৷