• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় হিন্দ’ বন্ধ থ্যাঙ্কসও, অধিবেশনের আগেই বিরোধীদের ভাষায় হুলিয়া

দিল্লি, ২০ জুলাই– বুলেটিন প্রকাশ করে সংসদদের সংসদীয় আচরণ স্মরণ করিয়ে দিল সরকার৷ এমপিদের ‘সুশীল’ সংসদীয় আচরণ স্মরণের নামে সোমবার থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে সংসদের সতর্ক করে দেওয়া হল যে, সংসদের ভিতরে বা বাইরে ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান চলবে না৷  অসংসদীয়, আপত্তিজনক কোনও ভাষা প্রয়োগ সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে,

দিল্লি, ২০ জুলাই– বুলেটিন প্রকাশ করে সংসদদের সংসদীয় আচরণ স্মরণ করিয়ে দিল সরকার৷ এমপিদের ‘সুশীল’ সংসদীয় আচরণ স্মরণের নামে সোমবার থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে সংসদের সতর্ক করে দেওয়া হল যে, সংসদের ভিতরে বা বাইরে ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান চলবে না৷  অসংসদীয়, আপত্তিজনক কোনও ভাষা প্রয়োগ সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান যদি মনে করেন ওই কথা সংসদের অনুপযুক্ত তাহলে তা বাতিল করা হবে৷ এনিয়ে কোনও বিতর্ক চলবে না৷ সভায় অনুপস্থিত কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব বা সমালোচনা করা যাবে না৷ এটাও সংসদীয় রীতি বিরুদ্ধ বলে বুলেটিনে সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্যসভার সচিবালয়৷ বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, থ্যাঙ্কস, থ্যাঙ্ক ইউ, জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম স্লোগান দেওয়া চলবে না৷

‘হ্যান্ডবুক ফর মেম্বার্স অফ রাজ্যসভা’ থেকে নির্বাচিত অংশবিশেষ নিয়ে রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে প্রকাশিত এক বুলেটিনে সদস্যদের আচরণ সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ শুধু স্লোগানই নয়, সেখানে এমপিদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সভার অধ্যক্ষের নির্দেশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমালোচনা করা যাবে না সংসদের ভিতরে বা বাইরে৷

রাজনীতিক মহলের একাংশের মতো আসলে এই বুলেটিনের মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে বিজেপি সরকার সংসদের ভিতরে বিরোধীদের হাঙ্গামা রোধের চেষ্টা করেছে৷ তার সঙ্গে নিজের বিরুদ্ধে বিরোধীদের নানান স্লোগান, বিক্ষোভ দমানোর পথ৷

এমনকী সদস্যদের এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সভায় কোনও কিছু প্রদর্শন করাও বিধিসম্মত নয়৷ অর্থাৎ সরকার বিরোধী যে কোনও গণতন্ত্রসম্মত আন্দোলন সংসদের ভিতরে বা সংসদ চত্বরে করা চলবে না৷ উল্লেখ্য, আগামী ২২ জুলাই শুরু হচ্ছে অষ্টাদশ লোকসভার পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন৷ যা চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত৷
এই সতর্কাবার্তার পর সংসদের ভিতরে বিরোধী জোট শরিকরা মুখ খোলার কতটা সুযোগ তাই এখন প্রশ্নের৷ একটি উত্তর-সম্পাদকীয় লেখায় সেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে তিনি এই সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন, এই অধিবেশনে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হোক৷ সরকার এবং বিরোধীদের দেশের মানুষের হয়ে আওয়াজ তোলার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে যেন স্বচ্ছ বণ্টন হয়৷ ডেরেকের আরও দাবি, আসন্ন অধিবেশনে ১৯০ ঘণ্টার কার্যাবলি ঠিক করা হয়েছে৷ এর মধ্যে প্রশ্নপর্ব ও জিরো আওয়ারের জন্য বিরোধীরা মেরেকেটে ৩১ ঘণ্টা এবং সরকার ১৩৫ ঘণ্টা সময় পাবে৷ যা মোট সময়ের প্রায় ৭০ শতাংশ৷ সুতরাং, এই সরকারের আমলে সংসদে বিরোধীদের কথা বলার সময় ও সুযোগ কোথায়? তৃণমূল সাংসদের দাবি, এবার অন্তত কথা বলার সুযোগ দেওয়া হোক বিরোধীদের৷

প্রসঙ্গত, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে এবারের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে৷ দুই কক্ষেই সরকার-বিরোধী জোট সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি করার পর্যায়ে দাঁডি়য়ে আছে৷ তাছাড়া, বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধীদের হাতে টাটকা বিস্ফোরক রয়েছে সরকারপক্ষকে ঘায়েল করার মতো৷ এই অবস্থায় গত ১০ বছরের তুলনায় এবারের সংসদ অধিবেশন যে এককথায় জমে উঠবে তা বলাই বাহুল্য৷