• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

ঝাড়খণ্ডে ছয়টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী, তিনটি বাংলার সঙ্গে সংযুক্ত

অত্যাধুনিক এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি চালুর উদ্দেশ্য, এইসব অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করা, পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং শিল্প উৎপাদন ও বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করা। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে পর্যটনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

রবিবার ঝাড়খণ্ডে ছয়টি ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এদিন ভার্চুয়ালে এই পতাকা ওড়ান। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথমে ঝাড়খণ্ডের টাটানগর-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করেন। এরপর তিনি আরও পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। নতুন চালু হওয়া এই ট্রেনগুলি পাঁচটি রুটে চলবে। সেগুলি হল টাটানগর-পাটনা, ভাগলপুর-দুমকা-হাওড়া, ব্রহ্মপুর-টাটানগর, গয়া-হাওড়া, দেওঘর-বারাণসী ও রাউরকেলা-হাওড়া। এই ছয়টি ট্রেনই ঝাড়খন্ড থেকে চালু হলেও তিনটি বাংলার সঙ্গে সংযুক্ত। তিনটি ট্রেনই হাওড়া স্টেশন থেকে যাতায়াত করবে। ফলে বাংলার মানুষও যথেষ্ট উপকৃত হবেন।

অত্যাধুনিক এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি চালুর উদ্দেশ্য, এইসব অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করা, পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং শিল্প উৎপাদন ও বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করা। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে পর্যটনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে,’এই ট্রেনগুলি দেওঘরের (ঝাড়খণ্ড) বৈদ্যনাথ ধাম, বারাণসীর (উত্তরপ্রদেশ), কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, কলকাতার (পশ্চিমবঙ্গ) কালীঘাট এবং বেলুর মঠের মতো তীর্থস্থানগুলিতে দ্রুত যাতায়াতের প্রস্তাব দিয়ে ধর্মীয় পর্যটনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উৎসাহিত করবে।’

এছাড়া এই ট্রেনগুলি চালুর ফলে কীভাবে বাণিজ্যিক সুবিধা হবে, তারও একটি দিক নির্দেশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দাবি করা হয়েছে, পর্যটনের পাশাপাশি, ধানবাদের কয়লা খনি, কলকাতার পাট, দুর্গাপুরের লোহা ও ইস্পাত সহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলির সঙ্গে একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। ফলে এই শিল্পগুলিও যথেষ্ট উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়ে আরও বলা হয়, ‘বন্দে ভারত পোর্টফোলিও ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। সংযোগ বাড়াতে এই প্রকল্পের সঙ্গে নতুন নতুন পরিষেবা যুক্ত করা হচ্ছে।’ পাশাপাশি বলা হয়েছে, “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগের অধীনে দেশীয়ভাবে ট্রেনগুলি ডিজাইন করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলির অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত। যা নিয়ে যথেষ্ট গর্ব করা যায়। যা দক্ষতার সঙ্গে বিলাসিতাকেও সম্পৃক্ত করে। এরফলে লক্ষ লক্ষ যাত্রী উপকৃত হবেন।

ভারতীয় রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৫৪টি বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা সারা দেশে চালু রয়েছে। এই ট্রেনগুলি সম্মিলিতভাবে ৩৬ হাজার ট্রিপ সম্পন্ন করেছে। তিন লক্ষেরও বেশি যাত্রী বহন করেছে।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ছয়টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পাশাপাশি আরও বহু রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। সেই প্রকল্পের অর্থমূল্য ৬৬০ কোটি টাকা। তিনি এদিন ঝাড়খণ্ডের টাটানগরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ হাজার উপভোক্তার প্রকল্প অনুমোদনের চিঠি বিতরণ করেছেন।