মণিপুর ইস্যুতে মোদির নীরবতা ভাঙল 

দিল্লি, ৩ জুলাই –  মণিপুর ইস্যুতে  মোদির নীরবতা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছিল বিরোধীরা। অবশেষে উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানালেন, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সরকার সচেষ্ট। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইতিমধ্যেই মনিপুরে  শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নিয়মিত মণিপুরের বিবদমান গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন।

বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “সরকার মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। এখনও  পর্যন্ত এগারো হাজারের বেশি এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হিংসার ঘটনা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় অধিকাংশ জায়গায় শান্তি ফিরেছে। স্বভাবিক হয়েছে স্কুল, কলেজ অফিস ।”
মণিপুরের হিংসার নেপথ্যে উসকানির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি কংগ্রেসকেও এদিন নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও মণিপুরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ছিলেন। সেরাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার সবরকম সাহায্য করছে। তবে যারা এই হিংসায় মদত দিচ্ছে তাদের সতর্ক করে দিতে চাই, আগুনে ঘি ঢালবেন না। নয়তো  মণিপুরের মানুষও আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে। কংগ্রেসও কিন্তু মণিপুরে ১০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল।”

তবে এদিন নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে একটি কথাও ব্যয় করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি  প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বুধবার লোকসভায় নিট নিয়ে বিতর্ক চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি প্রধানমন্ত্রী। লোকসভার অধিবেশন বুধবার স্থগিত রাখা হয়েছে মঙ্গলবারের গোলমালের প্রেক্ষিতে।

লোকসভায় মঙ্গলবার বিরোধীরা বারে বারে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দাবি করেন। মণিপুরের কংগ্রেস সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভাষণ দেন। কিন্তু লোকসভায় মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী।


উল্লেখ্য, গত ১৪ মাস ধরেই অগ্নিগর্ভ উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। সদ্য যে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে ,কড়া নিরাপত্তা  সত্বেও সেখানে হিংসা এড়ানো যায়নি। একাধিক বুথে ছাপ্পা, বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছিল, চলেছে গুলিও। সেসবের পর ফলাফলে দেখা যায় রাজ্যের দুই আসনই অপ্রত্যাশিতভাবে জিতে নিয়েছে কংগ্রেস।