কয়েক মাস আগেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সাই সময় পুতিনকে আলিঙ্গন করায় মোদিকে তোপ দেগেছিলেন জেলেনস্কি। মোদির রুশ সফর নিয়ে অসন্তোষ ছিল আমেরিকারও। আমেরিকাও আশাপ্রকাশ করেছে যে, মোদিই পারবেন দু’দেশের যুদ্ধ থামাতে। আলোচনায় ভারতের অবস্থান নিয়ে মোদি জানান, “আমরা নিরপেক্ষ নই। প্রথম থেকে আমাদের একটাই পক্ষ। আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে। আমরা বুদ্ধের দেশ থেকে এসেছি। যেখানে যুদ্ধের কোনও স্থান নেই। আমাদের দেশ মহাত্মা গান্ধির দেশ। যিনি গোটা বিশ্বকে শান্তির বার্তা দিয়েছেন।”
এদিন জেলেনস্কিকে পরামর্শ দিয়ে মোদি বলেন, “এই যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক প্রয়োজন। আপনি যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেন, তাহলে সাহায্য করবে ভারতও। আমি বন্ধু হিসাবে কথা দিচ্ছি। পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতেও আমি বলেছিলাম, যুদ্ধক্ষেত্রে কখনও কোনও কিছুর সমাধান সম্ভব নয়। ভারত ইউক্রেনের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে। রাষ্ট্রসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে সব দেশের ক্ষেত্রেই আমাদের এটা মেনে চলা উচিত।” জেলেনস্কিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন মোদি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও জানিয়েছেন, ভারতের সফর করতে তিনি খুবই আগ্রহী।
মোদির পরামর্শমতো যদি ইউক্রেন ও রাশিয়া আলোচনায় বসে, তাহলে নয়াদিল্লির জন্য হবে বড় কূটনৈতিক জয় ।