সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচন নিয়ে মােদি-অধীর মতভেদ

সিবিআই (File Photo: IANS)

সিবিআই ডিরেক্টর নির্বাচনে সরকার ও বিরােধী দলের সহমত কার্যত অসম্ভব। শেষ কবে সহমতের ভিত্তিতে এই পদে নির্বাচন হয়েছিল তা ঠিক জানা নেই। তবে স্মরণাতীত কালে হয়েছে বলে মনে হয় না। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।

সােমবার সিবিআই ডিরেক্টর কে হবেন তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির বাসভবনে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বিরােধী দলনেতা অধীর চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা, প্রথা অনুযায়ী বৈঠকে ছিলেন।

দেশের নিয়ম মেনে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর নির্বাচন করেন এই তিনজন। কিন্তু সরকার ৯৩ জনের নাম বাদ দিয়ে অন্য নাম প্রস্তাব করে। যদিও পরবর্তী সিবিআই ডিরেক্টর হিসাবে যে তিন আইপিএসের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন উত্তর প্রদেশের পুলিশের ডিজি এইচ সি অবস্তী, এসএসবির ডিজি কুমার রাজেশ চন্দ্রা, ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ সচিব ভি এস কে কৌমুদী।


সুবােধ এবং রাজেশ চন্দ্র ১৯৮৫ ব্যাচের আইপিএস। পরবর্তী সিবিআই ডিরেক্টর এই তিন জনের মধ্যে কেউ একজন হবেন এটা আপাতত চূড়ান্ত। তবে মােদি ও শাহ ঘনিষ্ঠ সিবিআইয়ের প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস যিনি গুজরাত ক্যাডারের সেই রাকেশ আস্থানা কিন্তু এই তিনজনের মধ্যে নেই। ফলে রাকেশ আস্থানা যে সিবিআই ডিরেক্টর হচ্ছেন না তা সহজেই বলা যায়। 

পরবর্তী সিবিআই ডিরেক্টর কে হবেন তার জন্য ১০৯ জন আইপিএস অফিসার ও আমলার নাম কেন্দ্র তৈরি করেছিল। এই নামের তালিকা পাঠানাে হয়েছিল অধীর চৌধুরী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। এর মধ্য থেকে দশজন আই পিএস সম্বন্ধে বিশদে রিপাের্ট দেওয়া হয় অধীরবাবুকে। পরে আরও ছয়জনের বিশদ রিপাের্ট বিকেলে পাঠানাে হয়। 

এদিন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তােলেন মাত্র ১৬ জনের বিশদ রিপাের্ট কেন পাঠানাে হল। বাকি ৯৩ জন কে কেন বাদ দেওয়া হল তা স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি নােটও দেন অধীর। 

নিয়ম হল প্রধানমন্ত্রী, বিরােধী দলনেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির মধ্যে দুজন এক হলেই তবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর নির্বাচন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির রায় একদিকে যায়। কংগ্রেস জমানাতেই এর ব্যতিক্রম ছিল না। এখন দেখার শেষ হাসি কোন আইপিএস হাসেন।