• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

জঙ্গিদের নিশানায় স্বাধীনতা দি‍বস, দেশের ‍বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতী হামলার ছক, রাজধানী জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা

দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে ধারা‍বাহিকভা‍বে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে উপত্যকায়। শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, স্বাধীনতা দিবসকে নজরে রেখে দেশের ‍বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ১৫ আগস্ট দিনটিকে নজরে রেখে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গিদের। গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে ‍বিভিন্ন জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে ধারা‍বাহিকভা‍বে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে উপত্যকায়। শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, স্বাধীনতা দিবসকে নজরে রেখে দেশের ‍বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ১৫ আগস্ট দিনটিকে নজরে রেখে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গিদের। গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে ‍বিভিন্ন জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ‍ব্যক্তিত্বদের নিশানা করার পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গিদের।


গোয়েন্দা সূত্রে খ‍বর, ভারতে হামলা চালাতে ‍বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলিকে উস্কানি দিচ্ছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। হামলার জন্য বিপুল পরিমাণে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে লস্কর ই তৈবা, টিআরএফ ও জইশ ই মহম্মদকে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া, ডোডা, উধমপুর, পুঞ্চ ও রাজৌরিতে যে স‍ব হামলা হয়েছে তাতে সতর্ক হয়ে উঠেছে দেশের নিরাপত্তা বিভাগ। গোয়েন্দাদের দাবি, এই মুহূর্তে একাধিক সশস্ত্র জঙ্গি ভারতে আত্মগোপন করে রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এই ধরণের গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা রিপোর্টে দা‍বি করা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ‍ব্যক্তিত্বদের সমা‍বেশ রয়েছে এমন জায়গাগুলিই মূলত জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে। পাশাপাশি হামলার জন্য জইশ ও লস্করের সর্বদা প্রধান লক্ষ্য থাকে রাজধানী দিল্লি। কারণ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশের অন্যান্য ‍ব্যক্তিত্বরা দীর্ঘক্ষণ খোলা আকাশের নিচে থাকেন। ফলে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজধানীকে। পাশাপাশি ওই বিশেষ দিনটিতে উপত্যকাতেও হামলা চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খ‍বর, ড্রোনের মাধ্যমে পুঞ্চ ও জম্মুতে বিপুল পরিমাণ হাতিয়ার পাঠিয়েছে আইএসআই। পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ‍বিরোধী সংগঠনের মাধ্যমে টাকা ও মারণাস্ত্র পাঠানো হয়েছে।

গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পাশাপাশি দেশের সরকার বিরোধী উগ্রপন্থী সংগঠনও হামলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে উগ্রপন্থী খালিস্তান ও উত্তর-পূর্বের একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি সীমান্ত ও বিমানবন্দরগুলিতে বিশেষ সতর্কতামূলক ‍ব্য‍বস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।