• facebook
  • twitter
Saturday, 12 April, 2025

কেন্দ্রীয় কমিটিতে মীনাক্ষী? জল্পনা

মহম্মদ সেলিম-সহ বঙ্গ সিপিএমের একটা বড় অংশ মীনাক্ষীকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করতে চান সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

ফাইল চিত্র

বাংলায় সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে পার্টি কংগ্রেসের সভাপতিমণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পার্টি কংগ্রেসের আহ্বায়ক করা হয়েছে বিদায়ী পলিটব্যুরোর সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে।  মীনাক্ষীকে পার্টি কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্ত করা কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁর সদস্যপদ প্রায় নিশ্চিত হওয়ার ইঙ্গিতই বহন করছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে আবার একাংশের মতে, সব ক্ষেত্রেই যে পার্টি কংগ্রেসের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাও নয়। ফলে মীনাক্ষীকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হবেই তা এখনই বলা সম্ভব নয়। 
 
সিপিএমে সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নন, এমন কাউকে যদি এই ধরণের পরিচালকমণ্ডলীতে জায়গা দেওয়া হয়, তার অর্থ তাঁকে নেতৃত্বে তুলে আনা হবে। সেই সূত্রেই অনেকে মনে করছেন, মীনাক্ষীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়া নিশ্চিত। নিয়ম অনুযায়ী, সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী গঠন করা হয়। যার নেতৃত্বে থাকেন পলিটব্যুরোর সদস্য। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরাও ওই কমিটিতে থাকেন। তবে কেন্দ্রীয় কমিটি বা পলিটব্যুরোর বাইরেও কোনও সদস্যকে জায়গা দেওয়া হয়। তবে সাধারণত এই জায়গায় তাঁরাই জায়গা পান, আগামী দিনে নেতৃত্ব দিতে যাঁদের উপর দলের ভরসা রয়েছে।
 
বঙ্গ সিপিএমের একটা বড় অংশ মীনাক্ষীকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করতে চান তা স্পষ্ট। মহম্মদ সেলিম-সহ বঙ্গ সিপিএমের একটা বড় অংশ মীনাক্ষীকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করতে চান সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই নিয়ে দলের অন্দরে  ক্ষোভও রয়েছে। দলের এত অভি়জ্ঞ নেতা থাকতে মীনাক্ষীকে কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্নও উঠেছে।
 
দলে তারুণ্য বাড়াতে অনেকদিন থেকেই উদ্যোগী হয়েছে সিপিএম। দলের রাজনৈতিক খসড়ার প্রতিবেদন এবং পর্যালোচনা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলে এখনই তরুণদের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করতে না-পারলে দল ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এ পরিণত হবে। সিপিএম পলিটব্যুরোর সমন্বয়ক প্রকাশ কারাট রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে একথা বলেছেন। বিশেষত, যে যে রাজ্যে সিপিএমের সাংগঠনিক জোর রয়েছে, সেখানে তরুণ ও মহিলাদের হার উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন কারাট। কারাট আরও বলেন, দলে তরুণদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে দলের ছাত্র, যুব এবং ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের যে ভূমিকা থাকা উচিত তা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে না। 
 
সব শেষে বলা যায়, মাদুরাই শহর মীনাক্ষী মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাংলার সিপিএমের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে পৌঁছনোর পর তামিলনাড়ুর এক নেতা বাংলার এক নেতাকে বলেছিলেন, ‘আমাদের মাদুরাইকে মানুষে চেনেন মীনাক্ষী মন্দিরের জন্য, আর আপনাদের রাজ্যেও এখন দল মীনাক্ষীময়।’ তবে কী সত্যিই বাংলার সিপিএম ‘মীনাক্ষীময় ‘ হতে চলেছে ? সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে দলের অন্দরে।