শ্রীনগর, ১১ মার্চ – পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ের ওপর জঙ্গি হামলার পিছনে তেইশ বছরের মুদাসির আহমেদ খানের থাত রয়েছে বলে প্রমাণ এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর কাছে। সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান ওই হামলায় মূলচক্রী ছিল মুদাসির। কিন্তু সেনা অভিযানের কারণে ওই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার গভীর রাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী নেতৃতে বিশেষ অভিযান শুরু হয় পুলওয়ামার ত্রাল সেক্টরে। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন পিংলিশ’। সেনা সূত্রে খবর, সেই অপারেশনেই মৃত্যু হয়েছে মুদাসির আহমেদ খানের। ওই দিন সেনা বাহিনীর সঙ্গে লাগাতার গুলির লড়াই চলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। সূত্রের খবর, নিহতদের মধ্যে পুলওয়ামা হামলার মাথা ছিল ওই মুদাসির।
হামলায় অভিযুক্ত ওই যুবক পুলওয়ামার ত্রাল এলাকার বাসিন্দা। স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচয় ছিল মুদাসির। আইটিআই থেকে ইলেকট্রিশিয়ান কোর্স করে সে। ২০১৭ সালে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখায়। পরে জইশ নেতা নুর মহম্মদ তান্ত্রের হাত ধরে সে পুরোপুরিভাবে জঙ্গি দলে ভিড়ে যায়। ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে নুর মহম্মদ নিহত হওয়ার পর গা ঢাকা দেয় মুদাসির। তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছিল পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দার। নুর মহম্মদ নিহত হওয়ার পর ২০১৮ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে সে।
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার মূল মাথা মুদাসির আহমেদ খান ওরফে মহম্মদ ভাই। সে কাশ্মীরের ত্রালের মির মোহল্লার বাসিন্দা। রবিবার ত্রালের পিংলিশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে তার সত্যতা সরকারিভাবে এখনও স্বীকার করা হয়নি। ৭ ঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৩ বছরের মুদাসির জইশের এই সদস্য পুলওয়ামায় ব্যবহৃত গাড়ি এবং বিস্ফোরক জোগান দিয়েছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মুদাসির লেখাপড়া ও সাঞ্জোয়ানে জঙ্গি হামলাতেও জড়িত ছিল। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে সে সব রকম সাহায্য করেছিল। রবিবার যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে যে তিনজন জঙ্গি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে মুদাসির ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি পিস্তল ও কিছু কাগজপত্র যৌথবাহিনীর হাতে এসেছে।