দিল্লি, ১৫ মার্চ- ১৯৯৪ সালে প্রথম ভারতে এসে দিল্লির অন্যতম অভিজাত চাণক্যপুরী এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিল জইশ ই মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার । এমনই তথ্য সকলের সামনে উঠে এসেছে। এই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি প্রধান সে সময় ভারতে আসার দু-সপ্তাহের মাথায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার হয়। ১৯৯৪ সালে সে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে পা রাখে। সে সময় তাঁর কাছে পর্তুগিজ পাসপোর্ট ছিল। সেই পাসপোর্ট দেখেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ইমিগ্রেশন অফিসাররা। তাঁকে এও বলা হয় যে তাঁকে নাকি কোনভাবেই পর্তুগিজদের মতো দেখতে নয়। তখন মাসুদ জানায় সে নাকি গুজরাটি । এটা শুনে কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই তাঁর পাস্পোর্টে ছাপ মেরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
জেরার সময় তদন্তকারী অফিসারদের সে জন্য যে , সে হোটেল জনপথেও ছিল। এখানেই শেষ নয় , সে সাহারানপুর , লখনউ এবং বিখ্যাত মসজিদ দারুল উলুম দেওবন্দে থেকেছিল। জইশ এ মহম্মদ ভারতের বুকে বহুবার হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে পাঠাঙ্কোট বিমান ঘাঁটিতে হামলা জম্মু এবং উরির সেনা ছাউনিতে হামলা । এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সি আর পি এফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা। এসবের পিছনেই জইশ গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। সেই সময় মাসুদ বাংলাদেশ সফরের পর ভারতে ফেরে। তদন্তকারীদের জানায় , ”আমি দু’দিন ঢাকায় ছিলাম। এরপর বাংলাদেশ থেকে বিমানে চড়ে দিল্লি পৌঁছই । তার প্র একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে ভাও হোটেলের জন্য চালককে জিজ্ঞেস করি । এরপর আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। চাণক্যপুরী অশোক হোটেলে। সে জানায় সেদিন রাতে আশরাফ দার নামে এক কাশ্মীরি ব্যক্তিকে ফোন করে। সে পরে জঙ্গি গোষ্ঠী হারকত উল আনসারের সদস্য আবু মেহমুদকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে মাসুদের সঙ্গে দেখা করতে যায়। তাঁর এই সফর কালে সে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতকার করেন বলে জানা গিয়েছে। এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি হল হরকত উল আন্সা , হ রক্রত উল মুজাহিদিন, হরকত উল জিহাদ আল ইস্লামি।