মধ্যপ্রদেশের বেসরকারি সংস্থায় ফসল বেচে প্রতারিত বহু কৃষক! কৃষি আইন নিয়ে অস্বস্তি বিজেপির

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

সবরকম ভাবে চেষ্ট করেও দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ এখনও মেটাতে পারেনি কেন্দ্র। এর মধ্যেই বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালাে মধ্যপ্রদেশের প্রায় শ-দেড়েক কৃষকের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা।

এই কৃষকরা সরকারি মান্ডির বাইরে নিজেদের পছন্দমতাে বেসরকারি সংস্থার কাছে ফসল বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায় ওই সংস্থা ভুয়াে। ফসলের দাম বাবদ যে টাকা কৃষকরা পেয়েছিলেন তাও অকেজো। বিজেপির অস্বস্তি আরও বেড়েছে এই ঘটনাগুলি মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শিরাজ সিং চৌহান এবং কৃষিমন্ত্রী কমল প্যাটেলের নিজের জেলায়।

সদ্যই মধ্যপ্রদেশ সরকার সরকারি মান্ডির বাইরে থেকে ফসল কেনার নিয়ম অনেকটা শিথিল করেছে। এখন সে রাজ্যে মান্ডি থেকে লাইসেন্স পাওয়া ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের থেকে ফসল কিনতে পারেন। ফসলের দাম সংক্রান্ত চুক্তিও সরাসরি কৃষকদের সঙ্গে করতে পারে তারা। এই নতুন পদ্ধতি কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের মতােই।


মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেহর, হারদা ও হােসেঙ্গাদের প্রায় দেড়শাে কৃষক একটি সংস্থার কাছে পৃথক চুক্তি করে ফসল বিক্রি করেন। ওই সংস্থার কাছে মান্ডির লাইসেন্সও ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় যে সংস্থাটি ফসল কিনেছিল তাদের লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ।

শুধু তাই নয়, সরকারি মান্ডিতে তাদের নাম পর্যন্ত নথিভুক্ত নেই। আর সংস্থার তরফে যে চেক ফসলের দাম বাদ দেওয়া হয়েছিল সেগুলিও বাউন্স করেছে। সব মিলিয়ে কৃষকরা প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা প্রতারিত হয়েছেন। গত সােমবার ২২ জন কৃষক ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযােগ দায়ের করেছেন। তারপরেই এই পুরাে প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

কৃষকদের দাবি ওই ব্যবসায়ীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কৃষকদের পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়া হােক। যদিও সরকার এখনও এ ব্যাপারে মুখ খােলেনি। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ইন্ধন জোগাবে। কারণ নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে যুক্তিগুলি খাড়া করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হল এই প্রতারণা হওয়ার ভয়। স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা অস্বস্তি বাড়াবে গেরুয়া শিবিরে।