• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মোদিকে নিশানা মনমোহনের

বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষণে ভারতের ইতিহাস টেনে নেহরুর সরকারকেও আক্রমণ করেন মোদি।ভিডিয়ো বার্তা মোদির সেই আক্রমণেরই জবাব দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

চলতি মাসের প্রথম দিকে লোকসভায় ভাষণ পেশের সময় নানা ইস্যুতে কংগ্রেসকে দোষারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এমনকি , করোনার সংক্রমণের জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘কংগ্রেসের পাপেই করোনা গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে।’

বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষণে ভারতের ইতিহাস টেনে নেহরুর সরকারকেও আক্রমণ করেন মোদি। মনমোহনের এদিনের ভিডিয়ো বার্তা মোদির সেই আক্রমণেরই জবাব দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় মোদি সরকারকে মনমোহন রীতিমতো তুলোধনা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিং।

বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বর্তমান সরকার তাদের রাজনৈতিক নীতির ব্যর্থতার জন্য দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছে।

এই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেন্দ্রের ভুল নীতির জন্য আমজনতাকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কিন্তু, সরকার তার নিজের ভুল স্বীকার করতে রাজি নয়। বদলে তারা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত।

এদিন একটি ভিডিয়ো বার্তায় একথা বলেন মনমোহন। নেহরুর প্রসঙ্গ টেনে মোদিকে নানা সময় নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছে।

যেমন তিনি বলেছেন, ‘লাল কেল্লা থেকে পণ্ডিত নেহরু বলেছিলেন, কোরিয়ার যুদ্ধও আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর সেই কারণেই ভারতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী অসহায় ছিলেন।’

পণ্ডিত নেহরু একথাও বলেছিলেন যে, আমেরিকায় যদি কিছু হয়, তাহলে তার প্রভাবেও আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে।

আজ যদি আপনারা (কংগ্রেস) ক্ষমতায় থাকতেন, তাহলে মূল্যবৃদ্ধির জন্য কোভিডকে দায়ী করতেন এবং পালিয়ে যেতেন। মোদির অভিযোগ, নেহরু তাঁর সময়ে ঠিক এমনটাই করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সামনে নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য গোয়াকে অসহায় অবস্থায় ফেলে পালিয়েছিলেন নেহরু। ১৯৫৫ সালে গোয়া পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সত্যাগ্রহীদের মরার জন্য ফেলে রেখে গিয়েছিলেন তিনি’।

এর জবাবে এদিন মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর পদের কিছু নির্দিষ্ট তাৎপর্য রয়েছে। কেউ নিজের ভুলগুলি ঢাকতে দেশের ইতিহাসকে শিখণ্ডী করতে পারেন না।

আমি যে ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলাম, সবসময় চেষ্টা করেছি, যাতে কথার থেকে কাজ বেশি করতে পারি। রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য আমি কখনও দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে দিইনি। কখনও সত্য গোপন করিনি। আমি কখনও আমাদের গরিমা এবং অবস্থান খাটো হতে দিইনি।

বরং আমি সর্বদাই দেশের গরিমা সর্বাগ্রে রেখেছি। মনমোহন আরও বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সবসময় তাঁকে কটাক্ষ করে।

এই প্রসঙ্গে মনমোহন বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি যে আমাকে নির্বাক, দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছে, তার জন্য আমি খুশি। তারা গোটা দেশের সামনে আমার মুখোশ খুলে দিয়েছে, তার জন্য আমি খুশি।’