• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন মণীশ সিসোদিয়া

দিল্লি, ৯ আগস্ট – আবগারি দুর্নীতির মামলায় শুক্র‍বার সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সেই সঙ্গে মামলার দ্রুত শুনানিরও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের নির্দেশ , ‘‘আম আদমি পার্টি-র নেতা ‘দ্রুত বিচার’ পাওয়ার অধিকারী এবং তাঁকে নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানো ‘বিচারের প্রতারণা’ হবে। প্রায় ১৮

দিল্লি, ৯ আগস্টআবগারি দুর্নীতির মামলায় শুক্র‍বার সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সেই সঙ্গে মামলার দ্রুত শুনানিরও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের নির্দেশ , ‘‘আম আদমি পার্টি-র নেতা ‘দ্রুত বিচার’ পাওয়ার অধিকারী এবং তাঁকে নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানো ‘বিচারের প্রতারণা’ হবে।

প্রায় ১৮ মাস তিহাড় জেলে ‍বন্দি মণীশ সিসোদিয়াকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত নিম্ন আদালতের ‍বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কড়া সমালোচনা করে। প্রাক্তন আপ মন্ত্রীর সময়মাফিক ‍বিচার পাওয়ার অধিকার আছে ‍বলে জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ‍বিচারপতি ‍বিআর গাভাই এ‍বং ‍বিচারপতি ‍বিচারপতি কেভি ‍বিশ্বনাথন ‍বলেন, ‘আম আদমি পার্টির দ্রুত ‍বিচার পাওয়া দরকার। ‍বিচারের নামে তাঁকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা আইন‍বিরুদ্ধ।’‍বিচারপতি গাভাই ‍বলেন, ‘ আবেদনকারীকে সীমাহীন সময়ের জন্য কারাগারে আটকে রাখা তাঁর মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। আবেদনকারী সমাজের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। তাঁর উপর শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। ট্রায়াল কোর্ট এবং হাইকোর্টের এটাকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। আদালত ভুলে গিয়েছে যে শাস্তি হিসাবে জামিন আটকে রাখা উচিত নয়। জামিন দেওয়াই হল নিয়ম এবং জেলে আটকে রাখা ব্যতিক্রম। অভিযুক্তকে শাস্তি হিসেবে তার জামিনেরস আবেদন খারিজ করা যাবে না।” ‘
 
ধৃত প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এক জন ‘প্রভাবশালী ব্যক্তি’ এবং তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে । গত ২১ মে এই যুক্তি দেখিয়ে আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল দিল্লি হাই কোর্ট।
 
আদালত সিসোদিয়াকে সিবিআই এবং ইডির আনা অভিযোগের মামলাগুলি থেকে জামিন দিয়েছে। আদালত সিসোদিয়াকে ১০ লক্ষ টাকার একটি বন্ডদুটি সিকিওরিটি জমা দিতে বলেছে। এছাড়া তাঁর পাসপোর্ট এবং প্রতি সপ্তাহের সোমবৃহস্পতিবার তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দেওয়ার শর্ত আরোপ করেছে। তথ্যপ্রমাণ বিকৃতসাক্ষীদের প্রভাব খাটানোর বিষয়েও বিরত থাকতে বলেছে আদালত । ইডি আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল যাতে মণীশ সিসোদিয়া দিল্লির সচিবালয় অথবা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে না যেতে পারেন, সে ব্যাপারে নির্দেশ দিতে। তবে, এই আবেদনে আদালত গুরুত্ব দেয়নি। আদালত বলে, অধিকাংশ তথ্য প্রমাণই ইডি, সিবিআই-এর হেফাজতে রয়েছে।
 
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিসোসিয়াকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহও। চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। চলতি বছরের ২১ মার্চ এই আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত ১০ মে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিতেই ১ জুন পর্যন্ত কেজরিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পরে জুন মাসে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরি জামিন পেলেও হাই কোর্টে তা খারিজ হয়ে যায়।