মণিপুরে নতুন জট! ময়নাতদন্ত হলেও দেহ নিতে রাজি নয় মৃতদের পরিবার। মণিপুরের জিরিবাম জেলা থেকে নিখোঁজ ৬ জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পরেও অসমের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (এসএমসিএইচ) মর্গে পড়ে আছে। কারণ তাঁদেরর পরিবারের সদস্যরা শেষকৃত্যে করতে রাজি নন। সূত্রের মতে, সোমবার অসমের কাছাড় জেলার বরাক নদী থেকে ষষ্ঠ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপরে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল।
একটি সূত্রের দাবি, ৬টি দেহই শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনও তৈরি করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। তবে মৃতদেহগুলো কবে মণিপুরে তাঁদের পরিবারের কাছে দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
১১ নভেম্বর মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে একটি এনকাউন্টার হয়েছিল, যাতে ১০ জঙ্গি নিহত হয়। সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর ত্রাণ শিবিরে থাকা তিন মহিলা ও তিন শিশু নিখোঁজ হয়।
এর মধ্যে শনিবার আসামের কাছাড় জেলার বরাক নদী থেকে দুই মহিলা ও এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আগে শুক্রবার রাতে জিরিবামের জিরি নদী থেকে এক মহিলা ও দুই শিশুর দেহ মেলে। জঙ্গিরা তাঁদের অপহরণের পর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের মে থেকে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসায় ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জিরিবামে গঠিত জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি অসমের শিলচর থেকে মৃতদেহগুলিকে দাহ করার জন্য মণিপুরে তাঁদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।