• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পেটের দায়ে ফের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ফিরলেন বাংলার মানিক 

উত্তরকাশী , ৩০ জানুয়ারি – উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে দিনের পর দিন আটকে থাকার কষ্ট এখনও শরীর-মনে টাটকা, যা এখনো স্মৃতি হয়ে যায়নি।  লড়াইয়ের সেই দিনগুলির ক্ষত নিয়েই ফের সেই সুড়ঙ্গে ফিরে এলেন বাংলার মানিক। পেটের টানে উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে ফের কাজে যোগ ।   ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর। ৪১ জন শ্রমিকের জীবন-মরণ লড়াই যেদিন শুরু হয়েছিল। সুড়ঙ্গের মধ্যে খননকার্যের

National Disaster Response Force (NDRF) personnel prepare to enter into the tunnel as rescue operation moves into its final phase, for workers trapped in the Silkyara under construction road tunnel, days after it collapsed in the Uttarkashi district of India's Uttarakhand state on November 22, 2023. Indian rescuers have drilled two-thirds of the way through debris towards 41 workers trapped in a collapsed road tunnel, officials said on November 22, warning that the next 24 hours could be critical. (Photo by Arun SANKAR / AFP)

উত্তরকাশী , ৩০ জানুয়ারি – উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে দিনের পর দিন আটকে থাকার কষ্ট এখনও শরীর-মনে টাটকা, যা এখনো স্মৃতি হয়ে যায়নি।  লড়াইয়ের সেই দিনগুলির ক্ষত নিয়েই ফের সেই সুড়ঙ্গে ফিরে এলেন বাংলার মানিক। পেটের টানে উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে ফের কাজে যোগ ।  

২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর। ৪১ জন শ্রমিকের জীবন-মরণ লড়াই যেদিন শুরু হয়েছিল। সুড়ঙ্গের মধ্যে খননকার্যের সময় আচমকাই ধসে পড়েছিল নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ। হুড়মু়ড়িয়ে নেমে এসেছিল পাথর-বালি-সিমেন্টের চাঁই। আটকা পড়েছিলেন সকলেই। টানা ১৭ দিন সেই অন্ধ কূপে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছিল শ্রমিকদের। দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে ২ মাস। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়েই উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারায় ফের শুরু হল সুড়ঙ্গের কাজ। সেই কাজে হাত লাগিয়েছেন সে দিন আটকে পড়া সেই ৪১ জনের মধ্যে একজন বাংলার মানিক তালুকদার।
 
১২ নভেম্বর উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন বাংলার মানিক তালুকদার। দেশবিদেশে তোলপাড় পড়ে যায় উদ্ধার অভিযান নিয়ে। রুদ্ধশ্বাস অভিযানের শেষে ২৮ নভেম্বর মুক্তির আলো দেখেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার থেকে সেই সুড়ঙ্গে ফের কাজে যোগ দিয়েছেন তিনিও। মানিকের কথায়, ‘‘ওটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ছিল। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমাদের ভয়ে কাজ করা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’
 
এই কাজে যে ঝুঁকি রয়েছে, সে কথা জানেন মানিক। সে দিন আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের বেশিরভাগই ছিলেন তাঁর মতো পরিযায়ী শ্রমিক। দূর-দূরান্ত থেকে সিল্কিয়ারায় সুড়ঙ্গ খুঁড়তে এসেছিলেন তাঁরা। মানিকের কথায়, তিনি একা নন, তাঁরা সকলেই এই কাজের সম্ভাব্য বিপদের কথা জানতেন। তাই দু’সপ্তাহেরও বেশি একটানা অন্ধকারে আটকে থাকার পরেও মনোবল হারাননি।

১২ তারিখ সকালে উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গ ধসে পড়ার পর তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছিল। সুড়ঙ্গের ধসে পড়া অংশের মধ্যে দিয়েই আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল একটি পাইপ। তার মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছিল খাবার, জল, অক্সিজেন। তার পর পাথরের চাঙড় সরানো শুরু হয়। শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও সবগুলিই ব্যর্থ হয়। এমনকি ড্রিলিং মেশিন ভেঙে যায়। উদ্ধার অভিযানে বারবার বাধার পরে শেষমেশ বিতর্কিত এবং নিষিদ্ধ ‘ইঁদুর-গর্ত’ খোঁড়ার পদ্ধতি ব্যবহার করে মেলে সাফল্য।

পরিবহণ মন্ত্রক গত সপ্তাহে সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গের ফের কাজ শুরু করার ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই আবার সেখানে ফিরেছেন মানিক। সংসারের হাল ধরতে বিপদকে তুচ্ছ করেই আবার সুড়ঙ্গের অন্ধকারে মানিক ।