শাহরুখ খানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ছত্তিশগড় থেকে গ্রেপ্তার এক আইনজীবী। বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ফোন করে শাহরুখকে হুমকি দেওয়া হয়। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ফোন করে বাদশাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফৈজান খান নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। সম্ভবত ওই ব্যক্তির ফোন থেকেই হুমকি দেওয়া হয়। ফৈজান নিজে হুমকি দিয়েছে না তাঁর ফোন থেকে অন্য কেউ হুমকি দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা শুরু করে মুম্বই পুলিশ।
হুমকি বার্তা বলা হয়, ৫০ লক্ষ টাকা না দিলে বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের ক্ষতি করা হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৮ এবং ৩৫১ ধারায় অভিয়োগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ। মহারাষ্ট্র পুলিশ পৌঁছয় ছত্তিশগড়ে। কয়েকদিন তল্লাশির পর অবশেষে কব্জায় মূল অভিযুক্ত।
এর আগে ফৈজান জানিয়েছিল, ১৪ নভেম্বর তিনি মুম্বইয়ে আসবেন এবং বান্দ্রা থানায় বয়ান দেবেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তিনি প্রচুর হুমকির সম্মুখীন হন। নিরাপত্তার কথা ভেবে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লেখেন তিনি। আবেদন জানান, পুলিশ যেন ভার্চুয়ারি তাঁর বয়ান সংগ্রহ করে।
ফৈজানের কথায়, ১৯৯৩ সালের ‘আনজাম’ সিনেমায় শাহরুখ একটি হরিণ মারেন। এরপর তাঁর কর্মীদের রান্না করে খেয়ে নিতে বলেন। আমি রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের লোক। আমাদের সম্প্রদায় হরিণদের রক্ষা করার কথা বলে। সেখানে, একজন মুসলিম হরিণ সম্পর্কে ওই ধরনের কথা বললে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। তাই আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম।