তৃণমূলে যােগ দিলেন গােয়ার ২ বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা লুইজিনহাে ফ্যালেইরাে। তাঁর সঙ্গেই ঘাসফুল শিবিরে এলেন আরও ৫ জন নেতা। এত জনের একসঙ্গে যােগদান যেমন তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়ে দিল, তেমনই বাংলার বাইরে তৃণমূলের গুরুত্ব তেমনই বেড়ে গেল।
বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তাঁদের সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন সুব্রত মুখােপাধ্যায়, সৌগত রায়ও। এই যােগদানকে তৃণমূলের ‘মাইলস্টোন’ বলে অভিহিত করে সৌগত রায় জানান, গােয়ার আরও কয়েকজন নেতা বৃহস্পতিবার সেখানেই দলবদল করবেন।
সােমবার কংগ্রেস ছেড়ে মঙ্গলবারই কলকাতায় এসে পৌঁছেছিলেন ৭ বারের কংগ্রেস বিধায়ক লুইজিনহাে। সেদিন তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। তখনই স্থির হয়ে গিয়েছিল, বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে লুইজিনহাে যােগ দেবেন তৃণমূলে।
বুধবার দুপুরে দেখা গেল, নবান্নে গিয়েছেন। লুইজিনহাে এবং কয়েকজন নেতা। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধয়ায়ও। মমতা তাঁদের সকলকে উত্তরীয় উপহার দেন। সেখান থেকেই তাঁরা সােজা চলে আসেন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখােপাধ্যায়, সৌগত রায়রা লুইজিনহাে-সহ সকলকে স্বাগত জানান। এরপর তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন। সাংবাদিকদের মুখােমুখি হয়ে লুইজিনহাে বলেন, মমতা অত্যন্ত লড়াকু নেত্রী, প্রকৃত স্ট্রিট ফাইটার।
দেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তাঁর মতাে নেত্রী চাই। আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে কংগ্রেস করছি। কিন্তু সেই দল ছেড়ে তৃণমূলে এসেছি। জানি, এই যাত্রা আমার পক্ষে সহজ হবে না। তবু মমতার সঙ্গে হাতে হাত রেখে লড়াই করব।
পরে সৌগত রায় জানান, গােয়ার আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাই তৃণমূলে যােগ দিতে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার তাঁরা গােয়াতেই যােগ দেবেন।