বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটেয় দ্বিতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন। এই নিয়ে টানা দু’বার। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন নয়, শপথ গ্রহণ হবে অনুষ্ঠান হবে হাজার হাজার মানুষের সামনে। সেই অনুষ্ঠানে হেমন্তর পাশে দেখা যাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ।
বৃহস্পতিবারই রাঁচি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আগেই ফোন করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওই দিন ঝটিকা সফরে রাচি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শেই দুপুর সাড়ে তিনটেতে রাঁচিতে হবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত শোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী ঐদিনই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের কলকাতায় ফিরে আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যেখানে বাংলার উপনির্বাচনে ৬টির মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানে সদ্য মহারাষ্ট্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। ১০২টি আসনে লড়ে হাত শিবির জয় পেয়েছে মাত্র ১৬টিতে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা হেমন্তর শপথে মমতা উপস্থিতি যেন তাঁকেই নতুন করে ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসেবে তুলে ধরবে। কেননা বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমরে যেভাবে কংগ্রেস বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখানে ঘাসফুল শিবির ধাক্কা দিতে সমর্থ হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মোদির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই উজ্জ্বল হয়েছে।