দিল্লি, ২৪ জুন– দেশে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়াকে ফেরাতে নাজেহাল পুলিশ-প্রশাসন৷ আইনের দৌলতে জুটেছে ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’, ‘পলাতক’ নাম৷ তবে তাতে তো আর তাকে জেলের ঘানি তো টানতে হচ্ছে না৷ তার বদলে বিদেশের মাটিতে দিব্যি আনন্দ-উৎসবে দিন কাটছে তার৷ তারই প্রমাণ পাওয়া গেল ছেলের বিয়ে উপলক্ষে৷
বদেশে ছেলের বিয়েতে দিব্যি সু্যট-বুট পরে পৌঁছে গিয়েছেন, মহাআনন্দে ছবিও তুলেছেন৷ এদিকে দেশের ফেরার নামে জানাচ্ছেন তিনি অসুস্থ৷ এক সময় মালিয়ার সংগ্রহে ছিল ২৫০টি ক্লাসিক গাডি়, একটি ব্যক্তিগত বিমান, একটি কাস্টোমাইজ করা বোয়িং ৭২৭ বিমান, ইয়ট এবং ২০০টি ঘোড়া৷ আইপিএল-এর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) দল প্রথমে তিনিই কিনেছিলেন৷ ২০০৫ সালে তিনি কিংফিশার এয়ারলাইন্স স্থাপন করেন৷ এর ঠিক ২ বছর পরে মালিয়া কিনে নিয়েছিলেন ভারতের প্রথম কম খরচের বিমান সংস্থা এয়ার ডেকান৷ তবে ২০১২ সাল নাগাদ মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝার কারণে বন্ধ হয়ে যায় কিংফিশার৷ দিতে পারেননি কর্মীদের মাইনেও৷ সরকার এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে বিজয় মালিয়া আর্থিক সাহায্য নিয়েছিলেন৷ সেই টাকা শোধ না করেই বিদেশে পালিয়ে যান তিনি৷২ ০১৬ সালের ২ মার্চ মালিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক মামলা দায়ের করলে তিনি দেশ থেকে ফেরার হন৷ ভারত সরকার ইতিমধ্যেই মালিয়াকে দেশে প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ কিন্ত্ত বিভিন্ন ধরনের আইনি মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি৷