• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

‘দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী একদিন সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে,’ ধর্মান্তরের ক্রমবর্দ্ধমান সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

প্রয়াগরাজ, ২ জুলাই -ধর্মান্তরের প্রবণতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে , ধর্মীয় সমাবেশে ধর্মান্তরের ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। সোমবার আদালত বলেছে, ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে সংগঠিত ধর্মীয় সভা অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত। এই ধরনের ঘটনা সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী । ধর্মান্তরকরণ বন্ধ না

প্রয়াগরাজ, ২ জুলাই -ধর্মান্তরের প্রবণতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে , ধর্মীয় সমাবেশে ধর্মান্তরের ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। সোমবার আদালত বলেছে, ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে সংগঠিত ধর্মীয় সভা অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত। এই ধরনের ঘটনা সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থী ।
ধর্মান্তরকরণ বন্ধ না করলে একদিন সংখ্যাগুরু হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়াল কৈলাস নামে এক ব্যক্তির জামিনের আবেদন খারিজ করে এই মন্তব্য করেন। কৈলাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গ্রামের একদল হিন্দুকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করেছেন। এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে দেওয়া হলে একদিন সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। এই ধরনের ধর্মান্তরকরণ এই মুহূর্তে বন্ধ করা উচিত।
 

ধর্মীয় সমাবেশে ধর্মান্তরিত করার কাজ অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। স্পষ্ট ভাষায় আদালত জানিয়েছে, সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই ধরণের কাজ ধর্মাচরণের অধিকার লঙ্ঘন করে । উল্লেখ্য, সংবিধানে স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকারে বলা আছে, কোনও ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম, ঈশ্বরের ভজনা, পূজন, সাধনা করতে পারেন। এমনকি  শর্তসাপেক্ষে  নিজ ধর্মমতের প্রচারও করতে পারেন।

হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছে, ধর্মপ্রচারের অর্থ হচ্ছে, নিজ ধর্মকে অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু, অন্য কাউকে নিজ ধর্মে ধর্মান্তরিত করা নয়। আদালতের মতে, মানুষের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার কাজ চলছে।

হামিরপুর জেলার মৌদহ গ্রামের কৈলাসের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগকে গুরুতর অভিযোগ বলে বর্ণনা করেন বিচারপতি আগরওয়াল। উল্লেখ্য, রামকলি প্রজাপতি নামে এক ব্যক্তি কৈলাসের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। কৈলাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত একটি ধর্মসভায় গ্রামের সকলকে নিয়ে যান এবং সেখানে তাঁদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করা হয়। এরপরই আদালত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে, উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীহ দরিদ্র লোকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।  ধর্মান্তরের অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে আবেদনকারীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।

বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল উত্তর প্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তকরণ আইন ২০২১-এর ধারা ৩/৫ (১)-এর অধীনে নথিভুক্ত কৈলাসের জামিন আবেদনের শুনানি করেন। কৈলাসের জামিনের আবেদন খারিজ করার পরই এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।