• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ সম্মান পাচ্ছেন মেজর রাধিকা সেন 

দিল্লি, ২৯ মে – শান্তিরক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে বিশেষ সম্মান দিতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। ভারতের মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে নতুন পালক। রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ভুজারিক জানিয়েছেন, শান্তিরক্ষক হিসেবে মহিলা ও শিশুদের জন্য অসাধারণ কর্ম দক্ষতা দেখিয়েছেন রাধিকা সেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী ৩০ মে তাঁর হাতে ২০২৩-এর মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট পুরস্কার

দিল্লি, ২৯ মে – শান্তিরক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে বিশেষ সম্মান দিতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। ভারতের মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে নতুন পালক। রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ভুজারিক জানিয়েছেন, শান্তিরক্ষক হিসেবে মহিলা ও শিশুদের জন্য অসাধারণ কর্ম দক্ষতা দেখিয়েছেন রাধিকা সেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী ৩০ মে তাঁর হাতে ২০২৩-এর মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেবেন। 

রাধিকা সেন ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান ৱ্যাপিড(Rapid) ডিপ্লয়মেন্ট ব্যাটেলিয়নের জন্য রাষ্ট্রসংঘের মিশনে অংশগ্রহণ করেন। এনগেজমেন্ট প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্গানাইজেশন স্টেবিলাইজেশন ইন দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর সদস্য হন তিনি। রাধিকা যে সম্মান পাচ্ছেন তা এর আগে ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন মেজর সুমন গাওয়ানি। সুমন গাওয়ানির পর দ্বিতীয় ভারতীয় শান্তিরক্ষা সদস্য হিসেবে এই সম্মান পেতে চলেছেন রাধিকা। ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন রাধিকা সেন।  

হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা রাধিকা বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং আইআইটি বম্বে থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করছিলেন। এরপর তিনি ভারতীয় সেনায় যোগদান করেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনীর সদস্য হয়ে তিনি শিশু এবং মহিলাদের হয়ে কাজ করেছেন। রাধিকার ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাঁকে সত্যিকারের নেতা এবং রোল মডেল বলে দাবি করেন। 

গুতেরেস রাধিকার প্রশংসা করে আরও বলেন, তাঁর নেতৃত্ব দানের সঠিক ক্ষমতা আছে।  মানবিকতা এবং দায়বদ্ধতার অন্যতম সেরা উদাহরণ রাধিকা সেন। এই সম্মান পাওয়া নিয়ে মেজর তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ”এই সম্মান পাওয়া আমার কাছে সমস্ত শান্তিরক্ষীদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি দিচ্ছে। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এই ধরণের পুরস্কার শান্তিরক্ষকদের সেরাটা দিতে অনুপ্রেরণা করবে।  লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বজায় রেখে শান্তিরক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”  

রাষ্ট্রপুঞ্জের হয়ে সমস্যা জর্জরিত বহু দেশে পিস-কিপার হিসেবে কাজ করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্তত ১২৪ জনের মহিলা সদস্য। এই পুরস্কার তাঁদের সবার জন্য , জানিয়েছেন মেজর রাধিকা সেন।