বেঙ্গালুরুতে তরুণীকে টুকরো করে হত্যার ঘটনায় চরম পদক্ষেপ অভিযুক্তের, ওড়িশায় উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

বেঙ্গালুরুতে তরুণীর দেহ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল। বুধবার সকালে ওড়িষার ভদ্রক জেলায় ধুসুড়ি থানা এলাকার অন্তর্গত ভুঁইপুর গ্রামে সে আত্মহত্যা করেছে। অভিযুক্তের নাম মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায় (৩১)। সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

কয়েকদিন আগে বেঙ্গালুরুতে একটি ভাড়া বাড়ির ফ্রিজ থেকে এক বছর ২৬–এর তরুণীর টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দেহের মোট ৫০টি টুকরো করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই এক ভিন রাজ্যের যুবককে খুঁজছিল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহালক্ষ্মী ও মুক্তিরঞ্জন বেঙ্গালুরুতে একই জায়গায় কাজ করতেন। সেখানেই তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি মহালক্ষ্মী বিয়ে করার জন্য মুক্তিরঞ্জনকে চাপ দিচ্ছিলেন। এর জেরে দুজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। রাগের মাথায় মুক্তিরঞ্জন মহালক্ষ্মীকে খুন করে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। বেঙ্গালুরুর ডিসি (সেন্ট্রাল) শেখর এইচ থেক্কান্নাভার বলেন, ‘বুধবার সকালে ওই ব্যক্তিকে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় ৷ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ৷ ওড়িশার পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সে খুনের কথা স্বীকার করেছে ৷’


এক পুলিশ কর্মী জানান, খুন করার পর মুক্তিরঞ্জন নিজের ভাইকে ফোন করে। সে জানিয়েছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাড়া বাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে হবে। ভাইয়ের কাছেই মহালক্ষ্মীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় মুক্তিরঞ্জন। উল্লেখ্য, কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। প্রথমে অভিযুক্তের মোবাইলের লোকেশন পশ্চিমবঙ্গের কাছে দেখাচ্ছিল। তাই এই খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের নাম জড়ায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ওড়িশার একটি গ্রামে রয়েছে। এরপরই তাঁকে ধরতে পুলিশের একটি দল ওড়িশা পৌঁছায়। কিন্তু তাঁকে জীবিত অবস্থায় ধরা গেল না। বুধবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল।

১ সেপ্টেম্বর কাজের জায়গায় শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল মহালক্ষ্মী ও মুক্তিরঞ্জনকে। এরপর আর তাঁদের দেখা যায়নি। ২২ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে মহালক্ষ্মীর বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ফ্রিজ থেকে তাঁর দেহের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়।