ফের খবরের শি্রোনামে মহারাষ্ট্রের বদলাপুর। ধর্ষণের ঘটনার পর এবার মাত্র পাঁচ দিনের শিশুপুত্রকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিশুরই মা-বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে নাগপুর পুলিশ। ধৃত সকলেই মহারাষ্ট্রের ঠাণে জেলার বদলাপুরের বাসিন্দা।
মহারাষ্ট্রের এই বদলাপুরেই দুই নার্সারির শিশুকে পড়ুয়াকে স্কুল চত্বরেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এই রাজ্য। বদলাপুর রেল স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার বাসিন্দারা । এরপর সেই বদলাপুরেই ফের শিশু বিক্রির ঘটনা ঘটল।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিজেদের সদ্যোজাতকে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন শিশুটির বাবা-মা। অভাবের তাড়নাতেই দম্পতি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রথমে শিশুটিকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন নিঃসন্তান দম্পতি। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসনে তাঁরা। তাঁরা শিশুটিকে কিনে নিতে চান। রফা হয় এক লাখ দশ হাজার টাকায়। টাকার বিনিময়ে নিজেদের সন্তানকে ওই নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেন শিশুটির মা–বাবা।
বদলাপুরের ঘটনার কথা প্রথম নজরে আসে মানব পাচার রোধী একটি দলের। তৎপর হয় নাগপুর পুলিশও। শিশুটিকে উদ্ধার করে একটি অনাথ আশ্রমে রাখা হয়। গ্রেফতার হন শিশুর মা–বাবা, নিঃসন্তান দম্পতি যাঁরা শিশুটিকে কিনে নেন, এবং এই কেনাবেচায় মধ্যস্থতাকারী আরও দুই জন। মধ্যস্থতাকারীরা হলেন বছর ৪১–এর কিরণ এবং বছর ৪৫–এর প্রমোদ।
শিশুটির মা–বাবার সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অভাবের কারণেই শিশুটিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তখন কিরণ ও প্রমোদের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। তাঁরাই ওই নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজ দেন। উভয়পক্ষের মধ্যে কথাবার্তার পর অবশেষে ২২ আগস্ট শিশুটিকে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেন শিশুটির মা–বাবা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনের ৭৫ এবং ৮১ ধারায় নাগপুরের কালামনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।