আজকেই বাড়ি ফিরছেন মহারাজ। মঙ্গলবার সৌরভ গাঙ্গুলিকে দেখতে এসেছিলেন হদরােগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠ। দাদা’কে দেখার পর দেবী শেঠি পরিষ্কার এককথায় জানিয়ে দিলেন, “দাদার দাদাগিরি অটুট থাকবে।’ ধমনীতে ব্লকেজ ধরা পড়েছিল, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা হওয়ার ফলে দাদার দাদাগিরি থামবে না।
মঙ্গলবার আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি মহারাজের সঙ্গে দেখা করার পর এবং মেডিক্যাল বাের্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হৃদরােগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠী ‘দাদার দাদাগিরি অটুট থাকবে’।
তিনি বলেন, ‘সৌরভ একেবারে ফিট। স্বাভাবিক জীবনযাপন তাে বটেই। কিছুদিন পর ম্যারাথনেও দৌড়তে পারবেন সৌরভ। চাইলে ক্রিকেটও খেলতে পারবেন। বিমানও চালাতে পারবেন। কোনও সমস্যা হবে না।’ প্রসঙ্গত , বুধবারই সৌরভকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে।
সৌরভের চিকিৎসায় দশজন চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেডিক্যাল বাের্ড গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন হৃদরােগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি মঙ্গলবার সকালে তিনি বেঙ্গালুরু থেকে শহরে এসেছিলেন। তারপর হাসপাতালে গিয়ে সৌরভের সঙ্গে কথা বলেন। তারও পরে সৌরভের শারীরিক অবস্থা এবং তার চিকিৎসার খুটিনাটি নিয়ে বৈঠক করেন মেডিক্যাল বাের্ডের সদস্যদের সঙ্গে।
এর পর সংবাদমাধ্যমের মুখােমুখি দেবী শেঠি বলেন, হার্ট অ্যাটাক হলেও সৌরভের হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হবে না। একেবারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন মহারাজ। সৌরভ ধূমপান করেন না। অন্য কোনও বদভ্যাসও নেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। তারপরেও এই ধরনের হার্ট অ্যাটাক চিন্তায় যে ফেলেছে চিকিৎসকদের সেটা বলাই বাহুল্য। সৌরভ সবই করেছেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন কোনও শারীরিক পরীক্ষা করেননি। যে পরীক্ষা এই দেশের যে কোনও রাস্তার ল্যাবরেটরিতেও করানো যায়। ফলে আগে থেকে তাঁর অসুখের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। সেীরভ ওই পরীক্ষা করালে অন্তত পনেরাে বছর আগে এই ঘটনা সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করা হত। এছাড়া দেবী শেঠি বলেন, এখানকার চিকিৎসকেরা সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করেছেন। উন্নত বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই এই চিকিৎসা করা হত। এর বাইরে আলাদা কিছু করা হত না।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, তিনি চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকবেন। দু’সপ্তাহ পর মেডিক্যাল বাের্ডের সদস্যরা আবার আলােচনায় বসবেন। তখন ঠিক করা হবে সৌরভের বাকি দুটি ব্লকেজ সরাতে স্টেন্ট বসানাের প্রয়ােজন হবে কিনা। তারপর সেই অনুযায়ী অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।