রবিবার প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিলো গোটা এলাকা। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।প্রায় পঞ্চাশটি তাঁবু পুড়ে গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরই এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাকুম্ভের পরিস্থিতির খবর নিতে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে ফোন করেছিলেন।
রবিবার দুপুরে প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার ১৯ নম্বর সেক্টরের একটি তাঁবুতে আগুন লেগে যায়। নিমেষে একের পর এক তাবু আগুনে পুড়ে যেতে থাকে। আগুন ছড়িয়ে পড়তেই গোটা চত্বরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। খবর পেয়ে দ্রুতগতিতে দমকলের বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র একটি দলও ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করে। সমস্ত তীর্থযাত্রীদের এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। কীভাবে এই আগুন লাগলো, সেই বিষয়ে স্পষ্ট জানা না গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করছেন, তাঁবুর ভিতরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারগুলি ফেটেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই খবরেরই সিলমোহর দিয়েছেন আখড়া থানার ইনচার্জ ভাস্কর মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, অনুমান করা হচ্ছে, তাঁবুর ভিতরে রান্নার কাজের সময় কোনওভাবে আগুন ছড়ায়। এরপর সিলিন্ডারে বিস্ফোরণে সেই আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দুর্ঘটনায় পুণ্য়ার্থীরা কেউ হতাহত হননি বলেই খবর।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা পুলিশ জানালেও,আগুন কী থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। কুম্ভমেলার জন্য তৈরি এই অস্থায়ী তাঁবুগুলিতে পুণ্যার্থীদের রান্নার ব্যবস্থা থাকে। সেই থেকেই কোনও ভাবে আগুন ছড়িয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আগুন লাগার ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান । এর কিছু সময় পরেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান যোগী স্বয়ং। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। আগুন লাগার খবর পেয়েই যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রয়াগরাজে ‘মহাকুম্ভ ২০২৫’ থেকে একটি পোস্ট করে অগ্নিকাণ্ডের কথা জানানো হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মহাকুম্ভে অগ্নিকাণ্ড সকলকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। (পুণ্যার্থীদের) উদ্ধার এবং ত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। আমরা মা গঙ্গার কাছে সকলের সুরক্ষা প্রার্থনা করছি।’