জেদের কাছে হার মানল বয়স। শারীরিক সমস্যাকে পরাজিত করে ভোট দিলেন ১১৩ বছরের বৃদ্ধা। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ১১৩ বছর বয়সী কাঞ্চনবেন বাদশা বুধবার তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বয়স ও শারীরিক সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে হুইল চেয়ারে করে ভোটকেন্দ্রে আসেন কাঞ্চনবেন।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা কাঞ্চনবেন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে প্রতিটি বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। বুধবার ভোটদানের সময় প্রবীণ ভোটারের সঙ্গে ছিলেন পরিবারের এক সদস্য। কাঞ্চনবেনের নাগরিক দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেন তিনি।সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতা চলাকালীন তিনি বলেন, কাঞ্চনবেন কখনও নির্বাচন মিস করেননি। প্রতিবারই একই উৎসাহ নিয়ে ভোটে অংশ নেন। তাঁর ডেডিকেশন আমাদের সবার জন্য একটা শিক্ষা।
বুধবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে বিধানসভা নির্বাচন হয়। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ৫৮.২২ শতাংশ। মাওবাদী অধ্যুষিত গড়চিরোলি অঞ্চলে ৬৯.৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। মহারাষ্ট্রে মোট ভোটারের সংখ্যা – ৯.৭০ কোটি, এর মধ্যে ৫.২২ কোটি পুরুষ এবং ৪.৪৯ কোটি মহিলা। ভোটার সংখ্যায় পুনে জেলা শীর্ষে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ার এবং শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) নেতা আদিত্য ঠাকরের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বসহ ৪,১৩৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে বুধবার। ভোট গণনা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
এবারের নির্বাচনে লড়াই দুটি জোটের মধ্যে – মহা বিকাশ অঘাদি (এমভিএ) এবং শাসক মহায়ুতি। এমভিএ-তে আছে কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে) এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (শরদ পাওয়ার)। মহায়ুতিতে আছে – একনাথ শিন্ডের শিব সেনা, বিজেপি এবং অজির পাওয়ারের এনসিপি।