আজ বৃহস্পতিবার মায়ের বােধন অর্থাৎ মহা ষষ্ঠীতে বাংলার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ৰ মােদি। আর মােদির এই ভাষণ নেই রীতিমত সরগরম বাংলার রাজনীতি। ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসক দল এ নিয়ে মুখ খুলেছে। এমনকি বাম কংগ্রেস ও বিজেপির বাংলা প্রেম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই কোভিড পরিস্থিতিতে বাঙলির সবথেকে বড় উৎসবে নিজেদের সামিল করতে এবার দুর্গাপুজো করছে বিজেপি। সল্টলেকে ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে তারা রীতিমত মণ্ডপ তৈরি করে পুজোর প্রস্তুতি নিয়েছে। সেই পুজোর উদ্বোধন করবেন মােদি। ভার্চুয়াল এই উদ্বোধনের পর শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে তাদের দিকে ধেয়ে আসছে একের পর এক প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা উত্তরবঙ্গ সফর করে গিয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কার্যত হুঙ্কার ছেড়েছেন তিনি। করেছেন বিভাজনের অভিযােগ। এমনকি সিএএ নিয়েও বার্তা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ফের বাংলার উদ্দেশ্যে মোদির ভাষণ দেওয়া বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বঙ্গ বিজেপি। তার ওপর বাঙালির প্রাণের উৎসবের প্রারম্ভের সকালে মােদির ভাষণে বেশ উজ্জীবিত বাংলার বিজেপি নেতারা।
বিজেপি সূত্রের খবর, ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে বিজেপি নেতাদের উদ্যোগে যে দুর্গাপুজো হচ্ছে, ভার্চুয়াল বক্তৃতায় সেই পুজোর উজ্জ্বাধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর মোদির এই ভাষণের দিকেই তাকিয়ে আছে বিভিন্ন মহল। কেন না মঙ্গলবারই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বক্তৃতায় কোভিড সংক্রমণের সময়ে উৎসবের দিনগুলিতে চূড়ান্ত সতর্ক থাকার কথা বলেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, সংক্রমণ কমে যাওয়ার পরও হালকা ভাবে করোনাকে নেওয়া ফের সেখানে কোভিড মাথাচাড়া দিয়েছে।
একদিনের ব্যবধানে ফের আজ বৃহস্পতিবার ফের বক্তৃতা দেবেন তিনি। তিনি কি বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। এ দিকে বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তােলা হচ্ছে একদিন আগে যিনি উৎসব নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি আবার পুজোর উদ্বোধনে ভাষণ দেবেন। আসলে বিজেপি বাংলা দখলে সব রকম পথে হাঁটতে চাইচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকদের দাবি। এখন দেখার ষষ্ঠীর সকালে কি বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিজেপির এই পুজো নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। মহিলা মাের্চার কয়েকজনের অতি উৎসাহ এবং এক মুখপাত্রের ইন্ধনে রটে গিয়েছিল বিজেপি দুর্গাপুজো করছে। শেষে হস্তক্ষেপ করেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, পুজো করা পার্টির কাজ না। যদিও পুজো হচ্ছেই। আর যাতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারাই প্রাধান্য পাচ্ছে।