দিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি – ‘নজিরবিহীন’ কাজের জন্য সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের এক বিচারপতি। অবসর নেওয়ার আগে একটি ফৌজিদারি মামলায় একটি মাত্র বাক্যে নির্দেশ দিয়েছিলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের ওই বিচারপতি। এরপর তিনি স্বাভাবিক নিয়মে অবসরও নেন। অবসর নেওয়ার পাঁচ মাস পর সেই পুরনো মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন বিচারপতি। এমন কাজের জন্যই সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন তিনি। কেন এত দিন ওই বিচারপতি মামলার রায় আটকে রেখেছিলেন তার জবাব চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অবসর নেওয়ার পর পাঁচ মাস ধরে কোনও মামলার ফাইল আটকে রাখা ‘চরম অনৈতিক’ কাজ।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি টি মাথিভানান ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল একটি ফৌজদারি মামলায় কার্যকরী নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পর সেই বছরই ২৬ মে তিনি অবসর নেন। তখনও সেই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়নি। ২৩ অক্টোবর বিচারপতি মাথিভানান বিশদে রায় প্রকাশ করেন। বিচারপতির এই কাজে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। যা শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতিরা।
ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘কার্যকরী নির্দেশ দেওয়ার পরে বিচারপতির হাতে পাঁচ সপ্তাহ সময় ছিল। কিন্তু তিনি সেই সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেননি। এর থেকে বোঝা যায় তিনি অবসর নেওয়ার পর ২৫০ পাতার রায় তৈরি করছিলেন। অভিজ্ঞ এক জন বিচারপতির এ হেন কাজ চরম অনৈতিক।’
বিচারপতিরা বলেন, ‘‘শুধু বিচার করাই নয়, সেই বিচার কার্যকর হচ্ছে কি না তা দেখাও বিচারপতির কাজ। আমরা কখনওই এমন কাজ সমর্থন করব না।’’ কেন তিনি এমন করলেন তা বিচারপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।