মান্ডিদীপের প্রেসিডেন্ট রাজীব আগরওয়াল জানান, ‘বাংলাদেশের চাহিদাযোগ্য পণ্যের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যায় ভারত থেকে। তাই ধীরে ধীরে ওই দেশে পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হলে ১৫ দিনের মধ্যেই অর্থনীতিতে চাপ পড়বে।গত বছরের শেষদিকে আমরা বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিই।’ বাংলাদেশে বছরে রপ্তানির আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
রাশিয়ার বাজারকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে চান রপ্তানিকারীরা। রাশিয়ার বাজার তুলনায় বড় তো বটেই, লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় রাশিয়া সমস্যায় পড়েছে। একাধিক পণ্যের চাহিদা রয়েছে।
মান্ডিদীপ শিল্প এলাকায় নানা আয়তনের প্রায় ৪৫০ ইউনিট আছে। বছরে তাদের টার্নওভারের পরিমাণ আনুমানিক ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এর প্রায় ২১ শতাংশ বা ১৮ হাজার কোটি টাকা আসে রপ্তানি থেকে। বছরে তার মাত্র সাড়ে চার শতাংশ বা ৮০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। রাজীব আগরওয়াল বলেন, ‘আমরা দেশবাসী ও আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে পারব না, তবে নিশ্চিতভাবেই ওদের আর্থিক ক্ষতির পথ তৈরি করতে পারি।’ সূত্রের দাবি, মধ্যপ্রদেশের অন্য অনেক শিল্প সংস্থা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সঙ্গে রপ্তানি লেনদেন বন্ধের পথ নিতে পারে।