• facebook
  • twitter
Saturday, 5 April, 2025

লোকপাল তদন্ত নয়: সুপ্রিম কোর্ট

আগে শীর্ষ আদালতের অনুমতি নিতে হবে

ফাইল চিত্র

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে লোকপালের সিদ্ধান্তে তুমুল অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি অভয় এস ওখা-র ডিভিশন বেঞ্চ সেই সিদ্ধান্তের উপরে স্থগিতাদেশ প্রদান করে জানিয়েছে, ‘বিষয়টি অত্যন্ত বিরক্তিকর’। হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত ভারতের দুর্নীতি-বিরোধী ওম্বুডসম্যান করতে পারবেন বলে লোকপাল যে নির্দেশ দিয়েছিল এবং নিজেদের এক্তিয়ার নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছিল, তা আর করা যাবে না। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং লোকপালের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নোটিশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত।

এদিন মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে শীর্ষ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ জানিয়েছে, দেশের সংবিধানের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ করা হয়। তাঁরা আর পাঁচজন ‘সরকারি কর্মচারী’-র মতো নন, যাঁরা সংসদে পাশ করা আইনের মাধ্যমে গঠিত কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তাই হাইকোর্টের বিচারপতিরা লোকপাল এবং ২০১৩ সালের লোকায়ুক্ত আইনের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়েন না।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি এএম খানউইলকর দুটি পৃথক মামলার রায়ে জানান, হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই ২০১৩ সালের লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইনের ১৪(১) ধারা অনুযায়ী তদন্ত ও প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লোকপালকে। সেই মতো দুই হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে লোকপাল তদন্তও শুরু করেছে।

কিন্তু এদিন শীর্ষ আদালত তাঁর রায়ে পরিষ্কার করে দিয়েছে, কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তদন্তে নেমে পড়তে পারবে না লোকপাল। তার জন্য আগে শীর্ষ আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এমনকি বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও অভিযোগকারীকে অবশ্যই অভিযুক্ত বিচারপতির নাম ও পরিচয় গোপন রাখতে হবে। এদিন শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও লোকপালের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, হাইকোর্ট কখনোই লোকপালের আওতায় পড়ে না। সে কারণে এভাবে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে তদন্তের কোনও এক্তিয়ার নেই।

পাশাপাশি এদিন একপ্রকার হুমকির সুরেই লোকপালকে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আমরা আশা করছি যে, কেন স্থগিতাদেশ দেওয়া হল, সেটা লোকপাল বুঝতে পারবে এবং ব্যাপারটা নিয়ে আর কোনও পদক্ষেপ করবে না। নাহলে আমরা আছি।’