• facebook
  • twitter
Wednesday, 1 January, 2025

মাত্র ২.৪৮ শতাংশ, লোকসভা নির্বাচনে এনআরআই ভোটের হার হতাশাজনক

১.২ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয় ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিল। কিন্তু নির্বাচনের সময় মাত্র ২.৪৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে ভারতে এসেছিলেন।

ফাইল চিত্র

লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস পরে নির্বাচন কমিশন ভোট শতাংশ প্রকাশ্যে এনেছে। তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের ভোটের পরিসংখ্যান খুবই উদ্বেগজনক। ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময় তাঁদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১.২ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয় ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিল। কিন্তু নির্বাচনের সময় মাত্র ২.৪৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে ভারতে এসেছিলেন।

পরিসংখ্যান প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ২০২৪ সালে, ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৭৪ জন জন অভিবাসী হিসেবে ভোটার তালিকায় নাম তোলেন। কেরল থেকে সর্বাধিক ৮৯ হাজার ৮৩৯টি নাম তোলা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সময় মাত্র ২৯৫৮ জন ভারতে এসেছিলেন। এর মধ্যে ২৬৭০ জন কেরলের।

বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের ভোটের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতের ৮৮৫ জন প্রবাসী ভোটারের মধ্যে মাত্র দু’জন লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। একই ধরনের পরিসংখ্যান মহারাষ্ট্রেও দেখা গিয়েছে। সেখানে ৫০৯৭ এনআরআই ভোটারদের মধ্যে মাত্র ১৭ জন ভোট দিয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, অন্ধ্র প্রদেশে ৭৯২৭ জন এনআরআই ভোটার ছিল, কিন্তু মাত্র ১৯৫ জন ভোট দিতে এসেছিলেন।

নির্বাচন কমিশন বলেছে যে কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর মতো অনেক বড় রাজ্য থেকে একজনও এনআরআই ভোট দিতে ভারতে আসেননি। অসমে ১৯ জন ভোটারের কেউই ভোট দেননি। বিহারেও অনেকটা একই ধরনের ছবি দেখা গিয়েছে। সেখানে ৮৯ জন নিবন্ধিত রেজিস্টার্ড ভোটারের মধ্যে কেউই তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। একই অবস্থা গোয়াতেও দেখা গিয়েছে। ৮৪ জন ভোটারের মধ্যে কেউই তাঁদের ভোট দেননি।

প্রসঙ্গত, ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার মোট ৬৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ভোটার ভোটপ্রদানে অংশগ্রহণ করেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই সংখ্যা ছিল ৬১ কোটি ৪ লক্ষ। চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী, ইভিএম-এ মোট ৬৪ কোটি ২১ লক্ষ এবং পোস্টাল ব্যালটে ৪২ লক্ষ ৮১ হাজার ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে।

অসমের ধুবড়ি লোকসভা আসনে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ৯২.৩ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। আর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। এখানে ৩৮.৭ শতাংশ ভোটার মতদানে অংশগ্রহণ করেন।

ভারতের এনআরআই ভোটাররা শুধুমাত্র সেখানেই ভোট দিতে পারেন, যেটি তাঁর ভারতীয় ঠিকানা। ভোট দিতে তাঁদের নিজ নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রে ব্যক্তিগতভাবে যেতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই অধিকাংশ এনআরআই ভোটার ভোটে অংশ নিতে পারছেন না। এনআরআই ভোট কমে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, সময়ের অভাব এবং বিশাল বিমান ভাড়া। মূলত এই দুটি কারণেই মানুষ ভোটদান এড়িয়ে যাচ্ছেন।