দিল্লি, ১৯ এপ্রিল– সকলের অতি পরিচিত দূরদর্শন৷ সাদা-কালো যুগ থেকে সাতরঙা রঙের যুগে৷ এখনও প্রিয় দুরদর্শন৷ এ দেশে কেবল টিভি আসার আগে দুরদর্শনই ছিল বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম৷ কেবল টিভির রমরমার যুগেও দুরদর্শনের দাপট কমেনি৷ সরকারি চ্যানেল হওয়ায় গরিমাও বরাবর অক্ষত রয়েছে দুরদর্শনের৷ রাজনীতির রঙ থেকে অধরা রইল না সেই সরকারি গণমাধ্যমও৷ রাতারাতি প্রতীকের রংবদল নিয়ে বিতর্কের মুখে গেরুয়া শিবির৷ আচমকাই দুরদর্শনের প্রতীকের রং নীল থেকে ধারণ করেছে গেরুয়া৷ যা নিয়ে অভিযোগের তির শাসক দল বিজেপির দিকেই৷ তবে এই রংবদল নিয়ে শাকসদল বিজেপি তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি৷
সকলের অগচরে কেন আচমকা কেন্দ্রীয় সরকারি চ্যানেলের প্রতীকের লোগো বদল করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ নীল থেকে গেরুয়া হলেও অতি পরিচিত প্রতীকটি চিনতে ভুল হবে না তার পুরোনো আকৃতির জন্য৷ যা এখনও একই রয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে নতুন চেহারা-রঙ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে দুরদর্শন৷ বদল হয়েছে পুরোনো ঠিকানারও৷ তৈরি হয়েছে নতুন স্টুডিয়ো৷ নতুনভাবে উপস্থাপনা করা হচ্ছে সরকারি এই সংবাদমাধ্যমে৷ এ নিয়ে বিস্তর প্রচার শুরু করা হয়েছে চ্যানেলের পক্ষ থেকে৷
বিতর্ক শুরু হতেই ব্যাটন সামলে এগিয়ে এসেছে খুলেছে দুরদর্শন কর্তৃপক্ষ৷ এক্স হ্যান্ডেলে ডিডি নিউজ অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের আদর্শ এক রয়েছে৷ তবে আমরা এবার এক নয়া অবতারে৷ এমন একটি সংবাদযাত্রার জন্য তৈরি থাকুন, যা আগে কখনও দেখেননি৷ বিকল্প ডিডি নিউজ এখন আপনাদের সামনে৷ গতির থেকেও বেশি দ্রুত সঠিক খবর পেশ করা, দাবি থেকে বেশি তথ্য এবং চাঞ্চল্যকর খবরের থেকে বেশি সত্য দেখানোর সাহস রয়েছে আমাদের৷ এমন কোনও খবর যা ডিডি নিউজে রয়েছে, বুঝবেন তা সত্য খবর৷’
মনে করিয়ে দি, ১৯৫৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিল দুরদর্শন৷ তবে লোকসভা ভোটের আবহে ঐতিহ্যশালী সেই দুরদর্শনের হঠাৎ ভোল বদল অনেকেই অবাক করে দিয়েছে৷ ভোটের মুখে এই রংবদলের পিছনে অনেকেই রাজনীতির ছায়া দেখছেন৷ সুকৌশলে কেন্দ্রের শাসকদলের গেরুয়াকরণ নীতির জেরেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করছে বিরোধীরা৷
তবে দুরদর্শনের এই রঙ বদলের পর রাজনীতিক মহলের অনেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্তির রেশ টেনে বলছেন সত্যিই এবার পরিচালিত কেন্দ্র সরকার সব সরকারি অফিসে গেরুয়া রং করতে চাইছে৷ উল্লেখ্য, গত সোমবারই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বিজেপি সব সরকারি অফিসকেই পদ্ম শিবির বানাতে চাইছে৷ এটা সন্ন্যাসীদের অপমান বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷