কোভিড সংক্রমণের শতকরা পরিসংখ্যান এখনও চিন্তাজনক বলে মন্তব্য করে শহরে আরও একসপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি প্রশাসন। শহরে কোভিড পজিটিভের হার ৩৫ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে নেমেছে ঠিকই, কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, পরিস্থিতি এখনও ঠিক নয়, কোভিড পজিটিভের হার যথেষ্ট বেশি।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল শহরে লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করে বলেন, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির অর্থ হল, শহরের মানুষ কোভিড নির্দেশিকাকে আরও কঠোরভাবে মেনে চলবেন। ফলে কোভিড সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে। করােনা পজিটিভের হার কমেছে ঠিকই, কিন্তু আরাম করে বসার মতাে পরিস্থিতি এখনও হয়নি। আমাদের লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে।
পাশাপাশি, আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে করােনা পজিটিভের হার কমে ২৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। মানুষের শরীর থেকে শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের চেনটা ভেঙে দিতে হবে। তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
রাজধানীতে মােট চার সপ্তাহ লকডাউন চলছে। কেজরিওয়াল বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে শহরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামােকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। শহরের মূল সমস্যা হল অক্সিজেন ঘাটতি। কেন্দ্রের সহযােগিতায় এখন শহরের হাসপাতালগুলাের অক্সিজেন মজুত করা সম্ভব হয়েছে ‘।
মারণ ভাইরাস করোনায় মৃত্যুমিছিল কমাতে ফের তৎপরতা দেখালাে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ। এক সপ্তাহের মেয়াদ বাড়ালাে এই দুটি সরকার। দিল্লিতে পুর্ন লকডাউন চলবে ১৭ মে-এর ভাের ৫টা পর্যন্ত, আবার উত্তরপ্রদেশে পূর্ণ লকডাউন চলবে ১৭ মে-এর সকাল ৭টা পর্যন্ত।
দিল্লির সরকার মেট্রোরেল পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখেছে। রবিবার থেকে বিহারে শুরু হয়েছে ১৮ বছর বেশি ব্যক্তিদের করােনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি। সােমবার কর্ণাটক রাজ্যে এই টিকাকরন শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।