• facebook
  • twitter
Sunday, 10 November, 2024

জলবায়ুর পরিবর্তনেই এত ঘন ঘন বজ্রপাত, বলছে রিপোর্ট

এই বছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বজ্রপাতের তাণ্ডব। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে গত কয়েক দিনের মধ্যে ঘন ঘন বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।

প্রতিকি ছবি (Photo: Getty Images)

এই বছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বজ্রপাতের তাণ্ডব। বিশেষ করে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে গত কয়েক দিনের মধ্যে ঘন ঘন বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এত ঘনঘন বজ্রপাত পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিহারে ১০ দিনে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪৭ জনের। আগামী দিনে এই রকম প্রাণঘাতী বজ্র-পাত আরও দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহবিদরা। মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে এখনও পর্যন্ত বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২১৫ জনের। এদের মধ্যে রয়েছেন কৃষক, শ্রমিক এবং গোপালকরা।

বিহারে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী লক্ষ্মীশ্বর রাই জানিয়েছে, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী এবং আধিকারিকরা আমায় জানিয়েছেন, যে আহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেই এত ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছে। শনিবারই বিহারে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও বজ্রপাত হতে পারে বলেও সতর্কার্তা জারি করা হয়েছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা বর্ষাকালে বজ্রপাত হয়ে থাকে। তবে আধিকারিক জানিয়েছেন যে এই বছরে বর্ষার শুরুতেই যত মানুষ বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন, তা গত কয়েক বছরে বজ্রপাতে বিহারে মোট মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

গত বছর বর্ষায় বিহারে বাজ পড়ে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিহারে অ্যাগ্রোমেটেরোলজিস্ট আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন যে বায়ুমণ্ডলে অশান্ত পরিস্থিতির কারণেই বজ্রপাত হয়ে থাকে।

বিহার সরকার বজ্রপাতের সমস্যা মোকাবিলায় একটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে এসেছে, যাতে কোথায় কখন বজ্রপাত হতে পারে সে সম্পর্কে পূর্বাভাস পাওয়া যায়। কিন্তু বহু কৃষকের কাছে স্মার্টফোন না থাকায় তা তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। আর মাঠে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদেরই।