• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 October, 2024

দ্বিতীয় পর্যায়ের ন্যায় যাত্রা ছেড়ে কৃষকদের মিছিলে যোগ দিতে দিল্লিমুখী রাহুল 

দিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি – দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে এবার কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। ইন্ডিয়া জোট এখন ছত্রভঙ্গ অবস্থায়। এই অবস্থায় নির্বাচনের মুখে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করতে চলেছেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ। অসম থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করলেও তা কতটা মানুষের মেনে দাগ কাটতে পারছে কংগ্রেস, সে নিয়েও প্রশ্ন

দিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি – দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে এবার কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। ইন্ডিয়া জোট এখন ছত্রভঙ্গ অবস্থায়। এই অবস্থায় নির্বাচনের মুখে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করতে চলেছেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ। অসম থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করলেও তা কতটা মানুষের মেনে দাগ কাটতে পারছে কংগ্রেস, সে নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। বাংলায় ন্যায় যাত্রা করতে গিয়ে ইন্ডিয়া জোটের চিড় আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ছে। এমনকী যাত্রা করতে গিয়ে বাংলার মতো রাজ্যে রাহুলের গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এই অবস্থায় কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি । 

এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ। এর জন্য বাতিল করতে হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার কর্মসূচি। ন্যায় যাত্রা ছেড়ে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লি আসছেন রাহুল গান্ধি। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন চলছে। সেখানেই কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দেবেন তিনি। সেই আন্দোলনে যোগ দেবেন তিনি। তবে এই বিষয়ে কোন কৃষক নেতার সঙ্গে তাঁর  কথা হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি । রাহুল গান্ধি কৃষক আন্দোলনে যোগ দিলে, এই আন্দোলন যে রাজনৈতিক রং নেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা, এবং অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা। মঙ্গলবার সকালে পাঞ্জাব থেকে ট্র্যাক্টরে, পায়ে হেঁটে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ হয়। মিছিল আটকাতে ড্রোন থেকে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। কৃষকদের এই মহামিছিল ঘিরে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব সীমানা মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। রাতে কিছুক্ষণের বিরতির পর বুধবার সকাল ৯ টা থেকে ফের বিক্ষোভে সামিল হন কৃষকরা । বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশের ব্যারিকেড থাকায়, যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দিল্লির সীমান্ত এলাকায় অনেক জায়গায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের আলোচনার বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সংগঠনগুলির কাছে আবেদন করেন তিনি । সরকার যে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী।

এদিকে, দিল্লির সীমান্ত এলাকায় আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানোর বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার রেল রোকো-র ডাক দিয়েছে এই সংগঠন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

অন্নদাতাদের দাবি-দাওয়া পূরণে স্বামীনাথ কমিশনের প্রস্তাব কংগ্রেস কার্যকর করেনি বলে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেছিল কেন্দ্র। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, স্বামীনাথন কমিশনের ২০১টি সুপারিশের মধ্যে ১৭৫টি ইউপিএ জমানায় কার্যকর করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল কৃষির ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি।

আন্দোলনের ঝাঁঝ বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। সরকার কৃষদের পাশে আছে বলে দিয়েছেন বার্তা। বিজেপি সরকারই কৃষকদের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং কিষাণ সম্মান নিধি চালু করেছে বলে দাবি করেছেন।