বৃষ্টির মধ্যে ভেঙে পড়ল শ্মশানঘাটের ছাদ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুর্দানগরে। এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কংক্রিটের ধ্বংসভূপের মধ্যে আরও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই অনেককে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানাে হয়েছে। এক মৃতদেহের দাহ করতে এসেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন শ্মশান যাত্রীরা।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, রবিবার সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল মুর্দানগরের ওই শ্মশানে। গত কাল স্থানীয় দয়ানন্দ কলােনির বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব এক ফল বিক্রেতা মারা গেলে আজ সকালে তার মৃতদেহ দাহ করতে আসেন শ্মশানযাত্রীরা। এই সময় আচমকাই ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ একটি অংশ। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়ে পিলার সহ ছাদও। এত দ্রুত তা ভেঙে পড়ে যে, তলায় আটকে থাকা কেউই বেরিয়ে আসতে পারেননি প্রায় সকলেই চাপা পড়ে যান তার তলায়।
স্থানীয় অভিযােগ, খারাপ মানের সামগ্রী দিয়ে এই অংশের নির্মাণ হচ্ছিল। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। যদিও অনেকেরই মতে, ওই এলাকায় খুব জল জমে। সেই কারণেই নির্মাণে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে, অন্তত চল্লিশ জন চাপা পড়েছেন ধ্বংসভূপের নিচে। তাদের মধ্যে অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। উপস্থিত রয়েছে পুলিশ ও দমকল বাহিনীও। রয়েছেন গাজিয়াবাদের জেলা শাসক। বৃষ্টির জন্য উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথ দুর্ঘটনায় মৃতদের উদ্দেশে শােকপ্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘােষণাও করেন তিনি। আহতদের দ্রুত আরােগ্য কামনা করে দুর্ঘটনার কারণ কী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।