ফাঁস ১০ হাজার গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, আরও বেকায়দায় পিএনবি
SNS
একেই বলে গোদের ওপর বিষফোঁড়া। প্রথমে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি এবার রাষ্ট্রায্যত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে উঠল তথ্য ফাঁসের অভিযোগ।
একটি ওয়েবসাইটে ব্যাঙ্কের প্রায় দশ হাজার গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ফাঁস হয়েছে। গ্রাহকের নাম, কার্ডের বৈধতা, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর এমনকি কার্ডের সিভিভি নম্বরও প্রকাশ্য চলে এসেছে।
এক দিন বা দুদিন নয়, গত তিন মাস ধরেঈ ওই ওয়েবসাইটে পিএনবি গ্রাহকের তথ্য রীতিমত টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কিছুই জানেন না। অবশেষে তাদের টনক নড়েছে।
বুধবার রাতে সিঙ্গাপরের নিরাপত্তা সংস্থা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে একথা জানানোর পর এবার তড়িঘড়ি আসরে নেমেছেন ব্যাঙ্কটির ইন্টারনেট শাখার প্রযুক্তিবিদেরা।
তাঁদের মুখ্য আধিকারির রাহুল শশী বলেছেন, ‘ইন্টারনেটেও কালোবাজারি চলে। সেখানেও কালো মার্কেট রয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের তথ্য কেনাবেচা চলে। গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে এরা ধরা পড়ে না। আমাদের ক্রলাররা এমনই কিছুর খোঁজ পেয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমাদের টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। গ্রাহকদের কোনও তথ্য বেহাত হবে না’।
তবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয় ব্যাঙ্কটির গ্রাহকরা। এমনতেই এদেশের ব্যাঙ্কের ইতিহাসে সাড়ে ১১ হাজার কোটির জালিয়াতি হয়নি। তার ওপর এখন আবার এভাবে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ফাঁসে ঘুম ছেটেছে অনেকেরই।
অর্থমন্ত্রক আর্থিক বেনিয়মের শিকড়ের খোঁজ করছে। সেই সঙ্গে দেশের বড় বড় ব্যাঙ্কগুলিকেও আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক থাকতে বলল মন্ত্রক।
এদিকে আজ নীরবের সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমসের কর্মীরা মুম্বইতে গণপদত্যাগ করেন। আন্ধেরিতে (ইস্ট) কর্মরত এক কর্মী জানান, ‘ আমাদের কেউ চাকরি ছাড়তে বলেননি, আমরাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম’।