লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল গ্রেপ্তার আমেরিকায়, দেশে ফেরাতে উদ্যোগী মুম্বই পুলিশ 

গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইকে গ্রেপ্তার করা হল আমেরিকায়। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ক্যালিফোর্নিয়ায় আনমোলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। চলতি মাসের শুরুতেই আমেরিকায় লরেন্সের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। কারণ গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারে আনমোল আমেরিকায় রয়েছে।  মুম্বই পুলিশ কারাগারে আটক গ্যাংস্টার লরেন্সের ছোট ভাইকে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব পাঠায়। সেই মতো তাঁকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল পুলিশ। বাবা সিদ্দিকি হত্যা মামলা সহ আরও বেশ কিছু অপরাধে আনমোল বিষ্ণোইকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।


ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ সম্প্রতি আনমোল বিষ্ণোইকে গ্রেপ্তার করার জন্য খোঁজখবর শুরু করে। আনমোলের তথ্য পাওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ২০২২ সালে এনআইএর দুটি মামলায় আনমোল বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। গত মাসে, মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট বিশেষ আদালতে জানায় যে পলাতক অপরাধী আনমোল বিষ্ণোইয়ের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় তারা ।
 
১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় বলিউড অভিনেতা সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় লরেন্স এবং আনমোল বিষ্ণোইকে ওয়ান্টেড আসামি হিসেবে অভিহিত করা হয়। মামলার চার্জশিটেও পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই এবং আনমোল বিষ্ণোইকে ওয়ান্টেড আসামি হিসেবে দেখায় ।
 
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুন এবং বলিউড তারকা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাংয়ের। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুটি ঘটনাই ঘটে আনমোলের নির্দেশে। তিনিই বিদেশে বসে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। 

সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনা-সহ মোট ১৮টি মামলায় অভিযোগ রয়েছে আনমোলের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের মে মাসে পঞ্জাবি সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডেও তাঁর যোগ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। মুসেওয়ালার উপর হামলায় যাঁরা অভিযুক্ত তাঁদের অস্ত্র সরবরাহ করারও অভিযোগ রয়েছে লরেন্সের ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

২০১৫ থেকে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দি লরেন্স বিষ্ণোই। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম আনমোলই পরিচালনা করেন। তদন্ত শুরুর পর থেকে আনমোলের কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। তাঁকে পলাতক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।  আমেরিকা থেকে নির্দিষ্ট তথ্য মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে আসার পরই তদন্তকারীরা তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হন।