• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কাশ্মীরের হাসপাতালে জঙ্গি হানায় পালাল লস্কর নেতা

শ্রীনগর- হাসপাতালকেও রেহাই দল না পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা। লস্কর-ই-তৈবার এক পান্ডাকে পালানোর সুযোগ করে দিতে হামলা চালানো হয়। গুলির লড়াইয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক পুলিশকর্মী। আহত আর এক পুলিশ কর্মীরও পড়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয়। শ্রীনগরে মহারাজা হরিসিং হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য য়ে আসা হয়েছিল পাকিস্তানি ওই জঙ্গি নেতাকে। তাকে ঘিরে থাকা পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে

ফের উরিতে গোলা পাকসেনার, পাল্টা জবাব বিএসএফের

শ্রীনগর- হাসপাতালকেও রেহাই দল না পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা। লস্কর-ই-তৈবার এক পান্ডাকে পালানোর সুযোগ করে দিতে হামলা চালানো হয়। গুলির লড়াইয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক পুলিশকর্মী। আহত আর এক পুলিশ কর্মীরও পড়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয়।

শ্রীনগরে মহারাজা হরিসিং হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য য়ে আসা হয়েছিল পাকিস্তানি ওই জঙ্গি নেতাকে। তাকে ঘিরে থাকা পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে হাসপাতালের বাইয়ে থাকা জঙ্গিরা। গোলাগুলির মধ্যেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় লস্কর জঙ্গি নাভিদ জট ওরফে আবু হানজালা।

২০১৪ সালে কুলিগ্রাম থেকে নাভিদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পাক জঙ্গি হানজালকে মুক্ত করার লক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা এসএমএইচএস হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈবা।

ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শ্রীনগরের কাকা সরাই এলাকায় উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ও জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ের ফাঁকে হানজাল পালায়। তাকে পুলিশি ঘেরাটোপে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।

দুপুরের হাসপাতাল চত্বরে প্রতিদিনের মতই রোগীদের ভিড় ছিল। ঘটনায় হেড কনস্টেবল মুস্তাক আহমেদ শহীদ হন। জখম কনস্টেবল বাবর আহমেদকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হলে কয়েক ঘন্টা পর তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশের জিডি এসপি বৈদ জানিয়েছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জঙ্গিরা তাদের পাক সঙ্গীকে পুলিশের হাত থেকে পালাতে সাহায্য করেছে’। শহরের সর্বত্র কড়া সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি জঙ্গিদের পাকড়াও করতে নাকাবন্দি ঘোশোণা করা হয়েছে।

পুলিশ আবু হানজাল সমেত ছয় বন্দিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (মধ্য কাশ্মীর) গুলাম হাসান ভট হামলা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসএমএইচএস হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে অন্য পাঁচ বন্দির সঙ্গে হানজালকে পুলিশি ঘেরাটোপে নামানোর পরই জঙ্গিরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। মুখ ঢাকা ফেরান পরিহিত জঙ্গিরা পার্কিংয়ে লুকিয়ে অপেক্ষা করছিল। দু’জন লস্কর জঙ্গি পুলিশের টিমকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।

পাকিস্তানের পাক পাঞ্জাব প্রদেশের মূলতানের বোরিভিল্লা জেলার বাসিন্দা আবু হানজাল। তার বিরুদ্ধে হায়দারপোরাতে সেনার ওপর হামলা, জাতীয় সড়কের ধারে সিলভার স্টার হোটেলে ও দক্ষিণ কাশ্মীরে সিআরপিএফ শিবিরে হামলা সহ একাধিক মামলায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ভারতীয় সেনার তরফে জানান হয়েছে, লস্কর জঙ্গিদের কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি কম্পাস, জিপিএস, ওয়ারলেসসেট, স্কাইপ সফটওয়ার সমেত মোবাইল ফোন ব্যবহার শেখানো হয়। পুলিশ হানজালকে শ্রীনগরের জেল থেকে শহরের বহিরাগত কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা কোনও জেলে স্থানান্তরিত করতে চেয়েছিল।