জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় জামিন পেলেন লালু, তেজস্বী, তেজপ্রতাপ 

জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব।জামিন পেয়েছেন তাঁর দুই ছেলে-সহ মোট ৯ জন। দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত এদিন ‘ল্যান্ড ফর জব স্ক্যাম’ মামলায় নয় অভিযুক্তকে ১ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে। আদালতের বিচারক বিশাল গোগনে এই জামিন মঞ্জুর করেন। আগামী ২৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।  
 
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর দুই ছেলে তেজস্বী যাদব এবং তেজ প্রতাপ যাদব জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় জামিন পেলেন সোমবার। দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ এই মামলায় তিনজনেরই জামিন মঞ্জুর করে। তদন্তের সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি বলেও উল্লেখ করে আদালত। বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী, তেজস্বী যাদব, চাকরির জন্য জমির মামলায় রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরে বলেন, ‘এই মামলা ভিত্তিহীন।  আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা আছে। আদালত আমাদের জামিন মঞ্জুর করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার করছেন মোদী সরকার।’
 
লালু যাদব এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রেলে চাকরির বিনিময়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু যাদব ছাড়াও  বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, তেজ প্রতাপ যাদবের বিরুদ্ধেও সরকারি চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে । ইডির চার্জশিটের ভিত্তিতে আদালত লালু যাদব এবং অন্য নয়জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে। যদিও ইডি তেজ প্রতাপ যাদবকে চার্জশিটে অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করেনি। তবে আদালত তেজ প্রতাপ যাদবকে সমন জারি করে বলে যে তেজ প্রতাপ যাদবও লালু যাদব পরিবারের সদস্য এবং অর্থ পাচারে তার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। তাঁদের বিরুদ্ধে জমা পড়া অতিরিক্ত চার্জশিট পর্যালোচনা করে বিচারক তাঁদের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো সোমবার দিল্লির আদালতে হাজিরা দেন লালু, তেজস্বী এবং তেজপ্রতাপ।
 
অভিযোগ, লালু প্রসাদ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশের রেলমন্ত্রী ছিলেন। তিনি তাঁর পদের অপব্যবহার করে জমির বিনিময়ে রেলে গ্রুপ ডি পদে অনেককে নিয়োগ করেছিলেন। অভিযোগ, এই জমিগুলি রাবড়ি দেবী এবং তাঁর কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামে করা একটি দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, এই ধরনের নিয়োগের জন্য কোনও বিজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
 
ইডি এবং সিবিআই এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। ইডির দাবি, ওই নিয়োগের বদলে জমিগুলি লালুর পরিবার বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে করিয়ে নেওয়া হয়েছিল।  এই মামলায় একাধিক বার লালু ও তেজস্বীকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়। আরজেডির  অন্যান্য নেতার বাড়িতেও  তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই।
 
তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগপত্রে ১১ জন আসামির নাম উল্লেখ করেছিল, যার মধ্যে ৩ আসামির ইতিমধ্যেই  মৃত্যু হয়েছে।