পাখির চোখ মালদ্বীপ, দেশের অর্থনীতি বাড়াতে লাক্ষাদ্বীপ পর্যটনে জোর

দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি-– প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরই সংঘাতে জড়ায় ভারত ও মালদ্বীপ৷ কিন্তু লাক্ষাদ্বীপ বরাবরই ভারতীয় পর্যটনে বিশেষ স্থান রাখে৷ তাই এবার বাজেটে লাক্ষাদ্বীপে বিশেষ জোর দিতে দেখা গেল অর্থমন্ত্রীকে৷ তারসঙ্গে ছিল মালদ্বীপকে দেওয়া বিশেষ বার্তা৷

উল্লেখযোগ্যভাবে, এখন বহু ভারতীয় মালদ্বীপের বদলে ভ্রমণের জন্য বেছে নিচ্ছেন লাক্ষাদ্বীপকে৷ অনেকেই মনে করছেন, তাই এবার এই জায়গাটির উন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে চাইছে কেন্দ্র৷ বিদেশের বদলে যাতে আরও বেশি ভারতীয়র পছন্দের তালিকায় স্থান পায় দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, তাই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান৷ এতে আগামিদিনে পর্যটনের মাধ্যমে আরও মজবুত হবে দেশের অর্থনীতি৷
বৃহস্পতিবার প্রথমবার নতুন সংসদ ভবনে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ দেশজুডে় আধ্যাত্মিক পর্যটন গডে় তোলার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “ধর্মীয় পর্যটনে জোর দেবে কেন্দ্র৷ রাজ্যে রাজ্যে বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলোর উন্নয়ন করা হবে৷ প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে৷ লাক্ষাদ্বীপ-সহ দেশের সর্বত্র পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷” এদিন অর্থমন্ত্রীর কথায় আলাদাভাবে লাক্ষাদ্বীপের নাম উঠে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষদ্বীপ সফরের পরেই মোদিকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট মুইজুর দলের একাধিক নেতা৷ এমনকী ভারতের সমুদ্র সৈকতগুলো নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত বলেও কটাক্ষ করেন সেদেশের কয়েকজন নেতা৷ তার পরই নিন্দার ঝড় ওঠে৷ গোটা ভারত জুড়ে শুরু হয় ‘বয়কট মালদ্বীপ’৷ বহু তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় মালদ্বীপের বদলে লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার আহ্বান জানান৷ বিশ্লেষকদের মতে, সংঘাত আবহে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটনের উপর জোর দিয়ে মালদ্বীপকেই বার্তা দিয়েছে ভারত৷


বলে রাখা ভালো, ৩৬টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি লাক্ষাদ্বীপ৷ কিন্ত্ত সবকটি দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি নেই৷ বেড়ানোর জায়গা হিসেবে পর্যটকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় মিনিকয়, কাভারত্তি, আগাত্তি, বনগরম, কদমতের মতো দ্বীপগুলো৷ সরকারি আইন অনুযায়ী, এই দ্বীপগুলোতে বেড়াতে গেলে বা থাকতে গেলে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে৷ এবার দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপকেও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল কেন্দ্র৷