সিঙঘু সীমান্তে নিহত লখবীর সিংয়ের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, প্রতিবাদ সভায় কয়েকজন তাঁকে প্রলুব্ধ করেছিল। পাশাপাশি তারা সরকারকে ঘটনার তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, লখবীর সিং স্ত্রী ও তিন কন্যাকে রেখে গেছেন। ছোটো কন্যা সন্তানের বয়স আট বছর।
লখবীর সিং-য়ের শ্বশুর তারান তার্নে সাংবাদিকদের জানান, আমরা ন্যায় চাই। ওকে প্রতিবাদ সভায় ওই জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করা হয়েছিল। এই হত্যাকান্ডের তদন্ত করতে হবে’। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘লখবীর ৫০ টাকা নিয়ে ছাবালে কাজ করতে যাব বলেছিল। সাত দিন পর গ্রামে ফিরে আসবে বলে গেছিল। আমরা ভেবেছিলাম ও কাজেই গেছে।
কেননা, হঠাৎ করে না বলে কোথাও যাওয়ার মতো মানুষ ছিলেন না। ওর হত্যাকারীদের শাস্তি চাই’। এএসআই কাবল সিং জানিয়েছেন, ওর স্ত্রী পাঁচ ছ’বছর আগে লখবীরকে ছেড়ে গিয়ে আলাদা থাকেন। গতকাল সকালে হংসরাজের ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভোর পাঁটা নাগাদ কুন্দলী থানায় খবর আসে সিঙঘু সীমান্তে কৃষকদের প্রতিবাদ সভায় মঞ্চের কাছে একজন গলায় দড়ি দিয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দেখে হাত পা কাটা একটা দেহ ঝুলছে। পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্যে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবনে ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করছেন। তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন।