দেশজুড়ে পালিত কুরবানির ইদ, শুভেচ্ছা মুর্মু-মোদি-রাহুলের

দিল্লি, ১৭ জুন– সোমবার দেশজুডে় পালিত হল ইদউল আযহা বা কুরবানির ইদ বা বকরি ইদ৷ কুরবানির ইদ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি সহ নেতানেত্রীরা৷
এদিন সকালে দিল্লির জামা মসজিদে নমাজ পাঠ হয়৷ ইদউল আযহা হল মুসলিমদের ত্যাগ বা কুরবানির উৎসব৷ ইসলামি ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ মাস ধু আল হিজাহ্-র দশম দিনে বকরি ইদ পালিত হয়৷ বকরি ইদ মানেই বিপুল পরিমাণে খাওয়াদাওয়া৷ যার মধ্যে একটি হল মাংস৷ মাংসের বিভিন্ন রকমের পদ রান্না হয় প্রায় প্রতিটি মুসলিম বাডি়তে৷ যার মধ্যে অন্যতম হল বিরিয়ানি৷
দিল্লির জামা মসজিদের কাছে মিনা বাজারে বকরি মেলা বসেছে প্রতিবারের মতো৷ একেকটি প্রমাণ সাইজের বকরির দাম প্রায় ২৫ হাজার টাকা ছুঁয়েছে৷ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কুরবানির পশুর দাম পড়ছে প্রায় ৫০ হাজার থেকে সাডে় ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত৷ উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে৷ খোলা জায়গায় কুরবানি নিষিদ্ধ করছে বিজেপি সরকার৷
শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নয়, তামাম বিশ্বেই একটি অতি জনপ্রিয় খাবার৷ মুঘল বংশের হাত ধরে এই খাবারটি ভারতে প্রবেশ করে৷ এই বিরিয়ানি নিয়ে বেশ কয়েকটি গল্পকথা প্রচলিত আছে৷
এক জনস্রুতি বলে, এর পিছনে হাত রয়েছে বেগম মুমতাজ মহল অর্থাৎ শাহজাহানের স্ত্রীর৷ একদিন মুমতাজ দেখেন কয়েকজন সৈন্য ও তাঁদের সেনাপতি বাদশাহি খানসামাকে পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার রান্নার নির্দেশ দিচ্ছিলেন৷ এর ফলেই তৈরি হল বিরিয়ানি৷ একটা পাত্রে, এক আঁচে, সবরকম পুষ্টির মিশেল রয়েছে এই খাবারে৷
আরেকটি কাহিনি প্রচলিত আছে৷ সেটা ১৩৯৮ সালের৷ তুর্কি-মোঙ্গল শাসক তৈমুরের সেনাবাহিনী এই খাবারের আমদানি করে বলে জনশ্রুতি আছে৷ বিরিয়ানি নামের সঙ্গে ফারসি যোগ রয়েছে৷ পারস্যে বিরিয়ান মানে পোড়া এবং বিরিঞ্জ নামের অর্থ হল প্রচুর মালমশলা সহ ভাত৷
আবার কারও মতে, বিরিয়ানির উৎস সংস্কৃতেও আছে৷ প্রাচীন ভারতে বিরিয়ানির শুরুর দিনে মাংস-ভাত-মশলা মাখিয়ে একটি খাবার তৈরি করা হতো যার নাম মাংসদান৷