দেশে কোভিড সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে গত দু’সপ্তাহে কমলেও উদ্বেগ কমছে না। কেননা, গত দু’মাসে ভারতে কোভিড সংক্রমণের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তাতে রীতিমতাে কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছিল। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক ছিল যে, ভারত দৈনিক সংক্রমনের হারের নিরিখে বিশ্বের যে কোনও দেশকে টেক্কা দিতে পারত।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, গত দু’সপ্তাহে দেশে সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে বর্তমানে কোভিড সংক্রমণের হার কম মনে হলেও মার্কিন মুলুকের সংক্রমণের হারের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি।
তাদের মতে, ভারতে উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গেছে। সংক্রমণ ও আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে গেলে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আমেরিকাকে টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দেশবাসীর সুরক্ষার উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেছেন, পুজোর মরশুমে বাড়িতে উৎসব পালন করুন। বাড়ি থেকে বেরােবেন না। ভারত নানা জাতি নানা ধর্মের দেশ। কিন্তু কোনও ধমেই বলে দেওয়া হয়নি যে বাড়ির বাইরে গিয়ে উৎসব পালন করতে হবে । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই কোভিডের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।
কিন্তু উৎসবের সময় রাস্তায় বেরিয়ে কোভিড নির্দেশ পালন করা সম্ভব নয়। ফলে সংক্রমন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘শীতের মরশুমে কোভিডের দ্বিতীয় প্রকোপ আসতে পারে, যা আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন , উৎসবের মরশুমে যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে শীতের সময় দ্বিতীয় কোভিড ঢেউ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে চলে যাবে।
ভারতে গোড়ার দিকে সবার প্রথমে কেরলে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুত সংক্রমণ কমে আসে কিন্তু ওনাম উৎসবের পর সংক্রমণের হার পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামি কয়েকদিনের মধ্যে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় উৎসব শুরু হয়ে যাবে। ফলে কেরলের পরিস্থিতি থেকে সতর্ক হওয়ার প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে।