ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় তৎপর রেল থেকে শুরু করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালের আগেই ওড়িশায় আছড়ে পড়তে পারে ‘দানা’। তবে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও পড়বে। এই কারণে ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ কলকাতা বিমানবন্দরেও বন্ধ থাকছে বিমান ওঠানামা। বুধবারই তা ঘোষণা করেছিল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকলা ৯টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। অপরদিকে বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। পাশাপাশি রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৫৫০টি’র বেশি ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে।
রেল ও বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ইতিমধ্যেই হয়রানির শিকার হতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। অন্যান্য ট্রেন বা বিমানের টিকিট না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০টি বিমান ওঠানামা করে। ‘দানা’র কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অনেক যাত্রীর টিকিটই বাতিল হয়েছে। মানুষের সমস্যা কমাতে একদিন আগে বিবৃতি জারি করে বিমান বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে ‘দানা’র কারণে ইতিমধ্যেই ৫৫২ টিরও বেশি দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ–পূর্ব রেল। ১৯৮টি ট্রেন বাতিল করেছে ইস্টকোস্ট রেল। পূর্ব রেল ২০০টিরও বেশি এবং দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল ১৪টি ট্রেন বাতিল করেছে। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে বাতিল করা হয়েছে প্রচুর লোকাল ট্রেন। শিয়ালদহ দক্ষিণ ও হাসনাবাদ শাখায় মোট ১৯০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। মোট ১৪ ঘণ্টা এই দুই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ইস্টকোস্ট রেল হাওড়া-সেকেন্দরাবাদ, শালিমার-পুরী, কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু, নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর, খড়্গপুর-ভিল্লুপুরম, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, শালিমার-হায়দরাবাদ, হাওড়া-পুরী-সহ আরও অনেক ট্রেন বাতিল করেছে। পূর্ব রেল যে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি বাতিল করেছে তার মধ্যে রয়েছে, পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী, পুরী-কলকাতা, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি-সহ আরও অনেক ট্রেন।