মাথায় চুল গজানোর সঠিক সময় না জানলে কিন্তু বিপদ 

চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে ভোগেন অনেকেই। আদি থেকে অন্ত চুল নিয়ে মানুষের কম চুলোচুলি হয়নি। আবহাওয়া, দূষণ, জীবনযাপনের বদল আসার ফলে পুরুষ, মহিলা প্রত্য়েকেরই ঘুম উড়েছে। তবে আধুনিক পদ্ধতি মানুষের এই সমস্যা সহজে সমাধানযোগ্য। শুধু দরকার পকেট ভর্তি  টাকা। তাহলেই থাকলে চুল পড়াও এমন কোনও বড় সমস্যা নয়। ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ পদ্ধতিতে অনেকেই হারানো চুল ফিরে পান। তবে শুধু ট্রান্সপ্লান্ট করালেই হল না, তারও কিছু নিয়ম আছে। সবার প্রথম জানতে হবে কোন সময় এই পদ্ধতি আপনার জন্য উপযুক্ত। 

‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’-এর আদর্শ বয়স কোনটি?

চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঠিক কোন বয়সে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করাতে হবে, তার কিছু নিয়ম আছে। সঠিক বয়সে ট্রান্সপ্লান্ট করালেই সবথেকে ভাল ফল পাওয়া যায়। সাধারণত ২৫ বছর বয়স থেকেই ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করানো যায়, ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত করাতে পারেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ২৫ বছরের কম বয়সে ট্রান্সপ্লান্ট করানো উচিত নয়। ওই সময়ে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করালে ভবিষ্যতে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে, এমনকী চুল পড়ে যেতে পারে আরও বেশি।

সবথেকে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে কখন?


যার ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ হচ্ছে, আর যার কাছ থেকে চুল নেওয়া হচ্ছে, দুজনের চুলের মান কেমন, তার ওপর নির্ভর করে ফলাফল ভাল হবে কি না। তবে ২০ বছরের পর থেকেই যাদের চুল পড়তে শুরু করে, তারা যদি তখনই ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে গজানো চুলে প্রভাব পড়তে পারে।

সবথেকে কম কত বয়সে করা যাবে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্য তিরিশে অর্থাৎ ৩৫-৩৬ বছর বয়সে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করা যেতে পারে, কারণ ওই সময়ে চুল পড়ার ধরনটা মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হয়ে যায়।

কখন চুল পড়ার সমস্যা প্রকট হয়?

পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্য়েই চুল পড়ার প্রবণতা শুরু হয়ে যায়। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা নির্ভর করে হরমোনের ওপর। তাই মূলত মেনোপজের ওপর অর্থাৎ ৪০, ৫০ বা কারও কারও ক্ষেত্রে ৬০ বছরের পর সমস্যা শুরু হয়।

‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ নিয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১. সমীক্ষা বলছে, খুব কম বয়সে বা খুব বেশি বয়সে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করানে উচিত নয়, সঠিক বয়স হল ৩৫ থেকে ৫০-এর মধ্য়ে।

২. কম বয়সীদের ক্ষেত্রে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করা হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। আর ৬০-এর পর ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ হলে সেই সম্ভাবনা কম থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যজনিত অন্য কোনও সমস্যার প্রভাব পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, ভারতে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’-এর বাজার ক্রমশ বাড়ছে। ২০২৫-এর মধ্যে ১৪০ মিলিয়ন ছাড়াতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। TechSci-এর গবেষণা বলছে, ভারতে চুল প্রতিস্থাপন করা অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে উঠছে। গোটা বিশ্বে ২০১৬ থেকে ২০২০-র মধ্যে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’-এর সার্জারি বেড়েছে ১৬ শতাংশ। সবার আগে আছে আমেরিকা, তুরষ্ক, দক্ষিণ কোরিয়া। অর্থাৎ বয়স ও অন্য়ান্য ফ্যাক্টর মাথায় রাখলে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ আরও বেশি সফল হবে।