দিল্লি, ৫ মার্চ– সরকারি তহবিলের লক্ষ-লক্ষ টাকা নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুইস খুরশিদের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি৷ তবে শুধু প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রী নয়, আরও ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে৷৷ অভিযোগ, সরকারি ফান্ডে লাখ লাখ টাকার নয়ছয় করেছেন সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুইস-সহ অন্যরা৷ তদন্তে নেমেই লুইস খুরশিদের ৪৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি৷ ইডি জানিয়েছে, যে চারটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট অ্যাটাচ করা হয়েছে সেখানে টাকা ছিল প্রায় ১৬ লক্ষ৷
ইডি জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদের ড. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গ্রান্ট-ইন-এইড পেয়েছিল ৭১.৫ লাখের৷ অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের সেই টাকায় ক্যাম্প হবে বলেও তা সঠিক জায়গায় ব্যবহার হয়নি৷ এমনকী ওই ফান্ডের টাকা নয়ছয় করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে ট্রাস্টের সদস্য প্রতু্যষ শুক্লা, ট্রাস্টের সেক্রেটারি মহম্মদ আথার, ট্রাস্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর লুইস খুরশিদের বিরুদ্ধে৷ সূত্রের খবর, অভিযোগ মূলত ছিল ট্রাস্টের প্রতিনিধি প্রতু্যষ শুক্লার বিরুদ্ধে৷ কিন্ত্ত এর পরে রাজ্য পুলিশের কাছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ১৭টি এফআইআর দায়ের হয় যা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়েই লুইস-সহ অন্যান্যদের নাম উঠে আসে৷
ইডির দাবি, ওই ট্রাস্টের টাকা সঠিক কাজে ব্যবহার না করে নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে লাগিয়েছিলেন লুইস ও অন্যরা৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির আরও অভিযোগ, ফারুকাবাদের ২৯.৫১ লাখের অস্থাবর সম্পত্তি ‘অ্যাটাচ’ করা হয়েছে৷ সেই সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ড. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আওতাধীন চাষের জমি৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানিয়েছে, ২০০২ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় এই অস্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে৷ তাছাড়া আরও চারটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট অ্যাটাচ করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ সালে, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ১৭টি জেলায় ক্যাম্পের আয়োজন করে প্রতিবন্ধীদের কৃত্রিম অঙ্গ এবং সরঞ্জাম বিতরণের জন্য ডা. জাকির হুসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে ৭১.৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি প্রদান করেছিল কেন্দ্র৷ সেই টাকা ঠিকমতো ব্যবহার হয়নি, তছরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷
তবে লুইসের এই সম্পত্তি কিন্তু এখনও বাজেয়াপ্ত বলতে যা বোঝায় তা করেনি ইডি৷ ইডি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, অ্যাটাচ করা মানেই তা বাজেয়াপ্ত করা নয়৷ এটি বাজেয়াপ্ত করার প্রথম ধাপ৷ ইডি কোনও মামলায় কোনও সম্পত্তি অ্যাটাচ করার পরে তা দিল্লিতে নিজেদের আইনি দফতরকে পাঠায়৷ আইনি দফতর সব খতিয়ে দেখে সবুজ সঙ্কেত দিলে তবে তা বাজেয়াপ্ত বা ‘ক্রোক’ করা হয়৷